আগরতলাঃ কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় জ্বলছে ত্রিপুরা। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তদন্তে নেমে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত সোমবার গণধর্ষণের এই ঘটনাটি ঘটে। কলেজ থেকে ফেরার সময়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক ছাত্রী। পুলিশের দাবি, কলেজ ছাত্রীকে রাতের বেলা তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। রাতভর নির্যাতন চলে মেয়েটির উপর। ভোরের দিকে পশ্চিম ত্রিপুরার আমতলি বাইপাসের ধার থেকে নির্যাতিতাকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কলেজ ছাত্রী।
নির্যাতিতার বয়ানের উপর ভিত্তি করে অভিযুক্ত গৌতম শর্মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গৌতমকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও দুই অভিযুক্ত সুদীপ ছেত্রী ও প্রসেনজিৎ পালের নাম সামনে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত গৌতম নির্যাতিতার পূর্ব পরিচিত। দিদির সুত্রেই অভিযুক্তের সঙ্গে আলাপ হয় নির্যাতিতার। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পশ্চিম ত্রিপুরার এসপি কিরণ কুমার জানান, ধৃত গৌতম, সুদীপ এবং প্রসেনজিৎ- একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে মূল পাণ্ডা আমতলী থানা এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিত পাল। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলেও খবর। উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৯০ লক্ষ।
প্রসেনজিৎকে না পেয়ে প্রথমে তার কাকা লক্ষণ পালকে আটক করে পুলিশ। বাড়ি থেকে আইপিএলের লগবুক, ল্যাপটপ, মোবাইল সিম, এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতরা আইপিএল বেটিং চক্রে জড়িত কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেই সঙ্গে প্রসেনজিৎ পালের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে কিনা, সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
অন্যদিকে, গনধর্ষণকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়িটিকেও আটক করা হয়েছে।। সোমবার ঘটনাটি ঘটলেও বুধবার অভিযোগ দায়ের হয়। এর পরেই গৌতমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গৌতমকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে দিয়েই বাকি অভিযুক্তদের নাম সামনে আসে।