নিজস্ব প্রতিনিধি: কর্ণাটকে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে বিজেপির। হাতছাড়া হয়েছে ক্ষমতা। সেখানে উত্তরপ্রদেশের পুরভোটে বিজেপি বিপুল জয় পেয়েছে। শনিবার উত্তরপ্রদেশের ১৭টি পুরনিগমের ভোট গণনা শুরু হতেই দেখা যায় প্রত্যেকটিতেই বিজেপি এগিয়ে রয়েছেন। গণনা শেষে দেখা যায় ১৭টিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। গতবার ১৬টি পুরনিগমের যে ভোট হয়েছিল তাতে ১৪টিতে জয় পেয়েছিল বিজেপি। সেই জায়গা থেকে এবার একটিতেও বিরোধীরা দাঁত ফোটাতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র বারাণসী-সহ মিরাট, কানপুর, লখনউ প্রভৃতি সমস্ত পুরনিগমে জয় পেয়েছে বিজেপি। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের ‘সুয়র’ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল শনিবার ঘোষিত হয়েছে। সেখানে জয় পেয়েছেন বিজেপি সমর্থিত আপনা দল (সোনেলাল) প্রার্থী রফিক আনসারি। কেন্দ্রটি সমাজবাদী পার্টির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপির শরিক দল। এছাড়া উত্তরপ্রদেশের ‘ছানবে’ বিধানসভার উপনির্বাচনেও বিজেপি সমর্থিত আপনা দল প্রার্থী রিংকি কোলে জয়ী হয়েছেন। এই দুটি উপনির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি ছাড়া আর কোনও দল প্রার্থী দেয়নি। অর্থাৎ একের বিরুদ্ধে এক লড়াই হয়েছে। সেখানেও কিন্তু উত্তরপ্রদেশের শাসকদলের জোটসঙ্গীকে হারানো যায়নি। এছাড়া যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের ৭৫টি জেলার ১৭টি নগরনিগম, ১৯৯টি নগরপালিকা এবং ৫৪৪টি নগর পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ আসন দখল করেছে বিজেপি।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন কতটা রয়েছে তা এতেই স্পষ্ট। উল্লেখ্য গত চার দশকের মধ্যে একমাত্র যোগী আদিত্যনাথ পরপর দু’বার নিজের দলকে জিতিয়ে এনে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন উত্তরপ্রদেশে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে বিজেপির কোনও মুখ্যমন্ত্রী পরপর দু’বার দলকে ক্ষমতায় আনতে পারেননি। শুধু কর্ণাটক নয়, হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে একই ঘটনা ঘটেছে। সেই জায়গায় যোগীর প্রতি উত্তরপ্রদেশবাসীর যেভাবে সমর্থন রয়েছে তা জাতীয় রাজনীতিতে তাঁকে আরও এগিয়ে দিচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনুগামীদের দাবি আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হবেন যোগী। এমনিতেই কর্ণাটকে পরাজয়ের কারণে চাপে পড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মোদি-শাহ জুটি কর্ণাটকে বহু সভা করলেও দলকে ক্ষমতায় আনতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে যোগী রাজ্যে যেভাবে ধারাবাহিকভাবে বিজেপির ভাল ফল হচ্ছে, তাতে আগামী দিনে তিনি আরও বড় দায়িত্ব পাবেন বলেই মনে করছেন তাঁর অনুগামীরা।