নয়াদিল্লি: দেশের বিজেপি সরকারের মাদ্রাসা নিয়ে অন্য বক্তব্য আছে, সেটা সকলেই জানে। কিন্তু সম্প্রতি যে খবর সামনে আসছে তাতে মাদ্রাসা শুধু নয়, অন্য কিছু জায়গা থেকেও জঙ্গিরা দেশকে নিশানা করার চেষ্টা করছে। সেগুলি এমন কতকগুলি জায়গা যেখানে যুবসমাজ বেশি থাকে। যেমন কোচিং সেন্টার, জিম, কম্পিউটার স্কুল ইত্যাদি। আর এই কাজ করছে হিজব-উৎ-তাহরির’ জঙ্গিগোষ্ঠী। আসলে এটি হল পশ্চিম এশিয়ার দেশ জর্ডনের কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন, যাকে সংক্ষেপে ‘হাট’ বলা হয়।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যেই এই জঙ্গিগোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য জানতে উঠে পড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যেই অবশ্য মধ্যপ্রদেশ অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড ১৬ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আপাতত জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে আইএস সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাশ্মীরে প্রথম পা রাখে ‘হাট’। তারপর তারা নিজেরাই নিজেদের মতো করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালের মধ্যে মূলত এই জঙ্গিগোষ্ঠী ভারতে শিকড় মজবুত করার কাজ করেছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে এই কাজ করা হচ্ছে বলে বেশি কিছু খবর বেরোচ্ছে না তাদের নিয়ে। সেটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে গোয়েন্দাদের।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”৩ দশক ধরে বাজির কারবার! হাজতবাসের পরেও বন্ধ করেননি সাধের ব্যবসা! কে এই কৃষ্ণপদ বাগ? কীভাবে উত্থান?” width=”853″>
জানা গিয়েছে, এই জঙ্গিগোষ্ঠী একাধিক ব্যক্তিকে জিমের ব্যবসায় নামিয়েছে। তরুণদের শারীরিক সক্ষমতা যাচাই করে, জঙ্গি ভাবধারায় উদ্ধুদ্ধ করছে। তারপর মোটা টাকা রোজগারের টোপ দিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সকলকে। দেশের গোপন নথি বের করাই হচ্ছে এদের মূল উদ্দেশ্য। মূলত ডার্ক ওয়েবে কাজ করে এরা। তাই গোয়েন্দাদের পরামর্শ, বিচিত্র কোনও নম্বর দিয়ে ফোন বা মেসেজ এলে কেউ যেন না ধরেন না রিপ্লাই করেন।