আকাশ ছোঁয়া SSC-র কেলেঙ্কারি, প্রতিবাদ উঠতেই রুখল পুলিশ!

কলকাতা: এসএসসির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সল্টলেকের আচার্য সদনে বিক্ষোভে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই কর্মীদের৷ শিক্ষক নিয়োগে ক্যাগের রিপোর্ট পেশে করার পরেই দুর্নীতিকে সামনে রেখে পথে নামল বাম যযু সংগঠনের কর্মীরা৷ এদিনের বাম ঘিরে ধিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ পুলিশ মিছিল আটকালে শুরু হয় ধস্তাধস্তি৷ প্রতিবাদে করুণাময়ী মোড় অবরোধ করা হয়৷ বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের দাবি, অবিলম্বে ক্যাগের

আকাশ ছোঁয়া SSC-র কেলেঙ্কারি, প্রতিবাদ উঠতেই রুখল পুলিশ!

কলকাতা: এসএসসির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সল্টলেকের আচার্য সদনে বিক্ষোভে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই কর্মীদের৷ শিক্ষক নিয়োগে ক্যাগের রিপোর্ট পেশে করার পরেই দুর্নীতিকে সামনে রেখে পথে নামল বাম যযু সংগঠনের কর্মীরা৷ এদিনের বাম ঘিরে ধিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়৷

পুলিশ মিছিল আটকালে শুরু হয় ধস্তাধস্তি৷ প্রতিবাদে করুণাময়ী মোড় অবরোধ করা হয়৷ বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের দাবি, অবিলম্বে ক্যাগের রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক৷ না হলে আগামী মাসে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে জানান কর্মীরা৷

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে চরম কেলেঙ্কারির প্রমাণ পেয়েছে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ক্যাগ৷ ক্যাটের সম্প্রতিক রিপোর্টে রাজ্য সরকারের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন প্রশ্নের মুখে৷ ক্যাগের তরফে তথ্য প্রমাণ পেশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সহকারি শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ক্যাগের এই রিপোর্ট প্রকাশ হতেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হলেন বাংলার শিক্ষকদের একাংশ৷

ক্যাগ রিপোর্টের উল্লেখ করা হয়েছে, একাধিক নিয়োগে পরীক্ষার্থীদের নম্বর কখন বাড়ানো, কখনও আবার কমানো হয়েছে৷ যোগ্য প্রার্থীদের নাম বাদ দিয়ে অযোগ্যদের ঢুকানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে৷ পরীক্ষা না দিয়ে নিয়োগ হয়েছে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে৷

স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির প্রসঙ্গে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘এসএসসি নিয়ে দুর্নীতি যে আমলেই হোক তার যথাযথ তদন্ত ও দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি আমরা৷ এবং বঞ্চিতদের উপযুক্ত সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে যোগ্যতার ভিত্তিতে ব্যক্তিরা একজনও যাতে বঞ্চিত না হন তা সুনিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষিত বেকারদের জীবন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ হোক৷’’

ক্যাটের ২০১৮ সালের ৬ নম্বর রিপোর্টে বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে সহকারি শিক্ষক নিয়োগে ৩৭৬ জন অকৃতকার্য হয়েছে৷ কিন্তু পরে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে৷ একাদশ শ্রেণিতে সরকারী শিক্ষক নিয়োগে ৪২৬৬ জন পরীক্ষা দিয়েছেন৷ কিন্তু, তাঁরা কোন ভাষায় পরীক্ষা দিয়েছে তা এখনও অজানা৷ দশম ও একাদশে শিক্ষক নিয়োগের ৬৮৯ জনের নাগরিকত্বের কোন উল্লেখ করা হয়নি৷ এদের মধ্যে ১০জনকে আবার নিয়োগপত্র দিয়ে দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ একাদশে শিক্ষক নিয়োগে সিস্টেমে ১২৭২১ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বর শূন্য৷ কিন্তু প্যানেলে নম্বর ভিন্ন৷ একাদশে শিক্ষক নিয়োগে অনলাইনে ৩৩০৫ জনের নম্বর দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু, প্যানেলে সেই নাম্বর পরিবর্তিত হয়েছে৷  ক্যাগের রিপোর্ট দেখুন এই লিঙ্কে- https://cag.gov.in/sites/default/files/audit_report_files/Chapter_2_Performance_Audits_of_Report_No_6_of_2018_General_and_Social_Sector.pdf

রিপোর্টা বলা হয়েছে, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রাজ্য সরকারকে তদন্ত করতে বলা হলেও তা হয়নি৷ এমনকি ২০১৮ সালের গোড়ায় ক্যাগ তার রিপোর্ট নবান্নে পাঠিয়ে দেওয়া হলেও তা গত অধিবেশনের শেষ দিনে পেশ করা হয়৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, এসএসসি দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য প্রাপ্ত নম্বর অনেক ক্ষেত্রেই কমিয়ে অথবা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ উত্তরবঙ্গের ১০ লক্ষ ২ হাজার ৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ হাজার ২১ জনের নম্বরে গরমিল ধরা পড়েছে৷ ৬ হাজার ৫৬১ জনের নম্বর বাড়ানো হয়েছে৷ ৪ হাজার ৪৬০ জনের নম্বর কমানো হয়েছে৷ একাদশে শিক্ষক নিয়োগে এমন ২ হাজার ২৬৪ প্রার্থীর খোঁজ মিলেছে যাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বর ১ থেকে ২৪ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ একাদশে ৭ জন শিক্ষকের জাতী পরিবর্তন করে পর্যন্ত চূড়ান্ত প্যানেলে পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও রিপোর্ট পেশ করেছে ক্যাগ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =