নয়াদিল্লি: ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে তাঁর গ্রেফতারির দাবি তোলা কুস্তিগিররা হরিদ্বার গিয়েছিলেন নিজেদের পদক গঙ্গায় বিসর্জন দিতে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না, তারই প্রতিবাদ জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাটরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই কাজ তারা করেননি, বরং সরকারকেই কিছুটা সময় বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, হরিদ্বার থেকে ফিরে আসার পরেই কুস্তিগিররা একদম চুপ করে গিয়েছেন। তারা সংবাদমাধ্যমে কোনও কথাই বলছেন না। এমনটা কেন?
দিল্লির যন্তর মন্তরে তারা যে ধর্না করছিলেন তা আর করতে পারবেন না কুস্তিগিররা। দিল্লি পুলিশ তাদের সেই অনুমতি দেয়নি। তবে দিল্লিতেই আমরণ অনশনে বসার কথা রয়েছে তাঁদের। আপাতত কেন্দ্রকে দেওয়া ৫ দিনের ‘ডেডলাইন’ চলছে। তারপরই কোনও সিদ্ধান্ত না হলে তারা নিজেদের মতো করে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিকে সূত্রের খবর, হরিদ্বার থেকে প্রত্যেকেই যে যাঁর বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। একমাত্র সাক্ষী মালিক রয়েছেন দিল্লিতে। কিন্তু কেউই সংবাদমাধ্যমে কোনও কথা বলছেন না। সবাই যেন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এই বিষয়ে কুস্তিগিরদের দলের এক সদস্য মুখ খুলেছেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”নোবেলকে মাদকের জোগান দিত কারা! কী জানালেন প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবেল?” width=”789″>
জানান হয়েছে, গোটা বিষয় নিয়েই ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছেন কুস্তিগিররা। যেখানে জেলাস্তরে পাওয়া কোনও পদক ফেলে দেওয়ার কথা ভাবা যায় না, সেখানে তারা আন্তর্জাতিক পদক গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শেষমেষ তা না করতে পারলেও এই সিদ্ধান্ত বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা কতটা আঘাত পেয়েছেন। তাই এখন তারা নীরবতা পালনের সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।