নয়াদিল্লি: সপ্তম পে কমিশন সম্ভবত শেষ পে কমিশন! কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন ঠিক করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নিতে চলেছে নতুন ব্যবস্থা৷ সপ্তম পে কমিশন রূপায়নের দাবিতে দেশজুড়ে যখন প্রতিবাদের আন্দোলন চলছে, তখন সরকারের পে কমিশনের সুপারিশ ব্যবস্থা থেকে সরে আসতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের বেতন বাড়বে না এমন নয়, বাড়বে তবে নতুন ব্যবস্থায় অ্যাকরয়েড ফর্মুলায়।
এই ফর্মুলা ধরে নতুন ব্যবস্থায় মুদ্রাস্ফীতি ও সরকারি কর্মীদের দক্ষতাকে বিচার করে নির্ধারণ করা হবে তাঁদের বেতন৷ গত কয়েক মাস ধরেই সংশ্লিষ্ট মহলে এই আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে৷ একদিকে কর্মদক্ষতাকে সামনে রেখে সরকার ছাঁটাইয়ের কাজ শুরু করছে৷ চলতি মাসের গোড়াতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই সংসদে জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রক ১০৮২ জন কর্মীকে ছাঁটাই করছে৷
এই ফর্মুলা আবিস্কার করেন বিশিষ্ট ব্রিটিশ পুষ্টিবিজ্ঞানী ওয়ালে অ্যাকরয়েড৷ যিনি ছিলেন ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের পুষ্টি দপ্তরের প্রথম অধিকর্তা। ভারতীয় খাবার ও পোশাকের চাহিদার কথা মেনে এই ফর্মুলা তৈরি করেন তিনি৷ সেখানে কর্মদক্ষতাকে প্রথম গুরুত্ব দেওয়া হয়৷
সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ গৃহীত হয় ২০১৬ সালের ২৯ জুন৷ সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন মাসে ৭ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৮ হাজার টাকা করার কথা ঠিক করা হয়৷ কমিশন তার সুপারিশে আরও জানায়, কর্মীদের বেতন ১০ বছরে একবার নয়, পর্যায়ক্রমে ঠিক করা উচিত৷ বিচারপতি এ কে মাথুরের নেতৃত্বে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ ছিল প্রতি বছর বেতন খতিয়ে দেখা উচিত৷ সাম্প্রতিকতম পে কমিশন অনুযায়ী পে ব্র্যান্ড এবং গ্রেট পে প্রয়োগ করে নতুন বেতন কাঠামো তৈরি করতে হবে বলেও সুপারিশ করে কমিশন৷ কেন্দ্রীয় সরকার যদি সমস্ত সুপারিশ অনুসরণ করে তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন ও পেনশন হবে মুদ্রাস্ফীতির ভিত্তিতে৷