সিগন্যালের গলতিতেই বলি ২৬১টি প্রাণ, করমণ্ডল দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে তেমনই ইঙ্গিত রেলের

সিগন্যালের গলতিতেই বলি ২৬১টি প্রাণ, করমণ্ডল দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে তেমনই ইঙ্গিত রেলের

বালেশ্বর: ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে নানা কারণের কথা উঠে আসছিল৷ এবার জানা গেল সিগন্যালের ত্রুটির কথা। এ বিষয়ে রেলের তরফে একটি যৌথ পরিদর্শন রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ওই যৌথ রিপোর্টে সিগন্যালের ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছেন  রেল আধিকারিকেরা। যদিও প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের পর দুর্ঘটনার কারণ বিষদে জানা  যাবে।

যৌথ পরিদর্শন রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘আপ মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি সেই লাইনে ঢোকেইনি। ট্রেন ঢুকেছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। তার সঙ্গে সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।’’ রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘‘সেই সময় ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।’’ কিন্তু প্রশ্ন হল, মেন লাইনে সবুজ সিগন্যাল পাওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ল করমণ্ডল এক্সপ্রেস কী ভাবে? এই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে সিগন্যালিং ব্যবস্থায় কোনও ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস৷ রেলের তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহতের সংখ্যা ৬৫০-এর বেশি। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেই রেল সূত্রে দাবি। যত শীঘ্র রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করা যায়, এখন সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে রেলের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু এককালীন ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে৷