ইম্ফল: মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বিগত কয়েক সপ্তাহে মণিপুরকে বিরাট উত্তপ্ত করে রেখেছে। মাঝে কিছু সময় পরিস্থিতি শান্ত হলেও উত্তাপ কিছুই কমেনি বরং দফায় দফায় বেড়েছে। সোমবার আবার উত্তেজনা ছড়াল রাজ্যজুড়ে। ককচিং জেলার সুগনুতে নতুন করে সংঘর্ষ ছড়ানোয় ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। জানা গিয়েছে, ১০০-র বেশি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূল অভিযোগ উঠেছে কুকি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কুকি জনগোষ্ঠীর সদস্যরা এক কংগ্রেস বিধায়কের বাড়ি-সহ প্রায় ২০০ বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সংঘর্ষের উত্তাপ পৌঁছে গিয়েছে মায়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত। এটাও জানা গিয়েছে, মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র কুকি জঙ্গিরা হামলা চালাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই রাজ্যের যে সব অঞ্চলে কার্ফু জারি ছিল তার মধ্যে বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবার সেই আগের মতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সফরে গিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, মণিপুর ভাগ হতে দেবেন না তিনি। আর জঙ্গিরা যদি অস্ত্র ত্যাগ না করে তাহলে আগামী দিনে ফল যে ভয়ানক হবে তাদের জন্য। এই হুঁশিয়ারির পরে বিভিন্ন এলাকা থেকেই হিংসার ঘটনা কমে আসার খবর মিলছিল। কিন্তু এখন অভিযোগ, কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি সইয়ের পরেও কুকি জঙ্গিরা হিংসা ছড়াচ্ছে। তারা কোনও নিয়ম মানছে না।