মৃতদেহের স্তূপে চাপা পড়েছিল ১০ বছরের ভাই, দেহ সরিয়ে উদ্ধার করেন দাদা

মৃতদেহের স্তূপে চাপা পড়েছিল ১০ বছরের ভাই, দেহ সরিয়ে উদ্ধার করেন দাদা

 বালেশ্বর: কথায় বলে রাখে হরি মারে কে৷  করমণ্ডল দুর্ঘটনায় অলৌকিক ভাবে রক্ষা পেল ১০ বছরের খুদে৷ 

ওড়িশার বালেশ্বর থেকে বিকেলে বাবা, মা আর দাদার সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিল বছর দশেকের দেবাশিস পাত্র। গন্তব্য ছিল ভদ্রক। সেখানে অপেক্ষা করছিলেন দেবাশিসের কাকা-কাকিমা৷ সকলের একসঙ্গে পুরী যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর আগেই নেমে এল বিপর্যয়৷ 

সেদিন ট্রেনে ওঠার পর মায়ের পাশে বসেছিল দেবাশিস। তাঁর কথায়, “হঠাৎ জোরে একটা বিকট শব্দ, তার পর প্রবল ঝাঁকুনি। অন্ধকার নেমে এল গোটা কামরায়। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। যখন জ্ঞান ফিরল, সারা শরীরে যন্ত্রণা হতে থাকে৷ বেশ কয়েক জনের দেহ আমার উপরে পড়ে ছিল।”

মা এবং বাবাকে আগেই উদ্ধার করে এনেছিল দেবাশিষের দাদা৷ কিন্তু কিছুতেই ভাইয়ের খোঁজ পাচ্ছিলেন না তাঁর দাদা। কামরার ভিতরে তন্ন তন্ন করে ভাইয়ের খোঁজ শুরু করেন তিনি। দেবাশিসের দাদা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, উদ্ধারকাজে গ্রামবাসীরা ছুটে এসেছিলেন। কামরার ভিতর তখন মৃতদেহের স্তুপ৷ কেউ কেউ গুরুতর আহত অবস্থায় কাৎরাচ্ছে। তাঁদের উদ্ধার করে আনা হয়৷ কিন্তু ভাইকে পাচ্ছিলাম না৷ এর পর কামরার একটি জায়গায় দেখি একসঙ্গে কয়েকটি দেহ দলা পাকিয়ে পড়ে রয়েছে৷ সেই দেহগুলি সরাতেই দেবাশিসকে দেখতে পাই৷ ওকে দেখে চিৎকার করে উঠেছিলাম৷ 

 দেবাশিসের দাদা জানিয়েছেন, ৭টি মৃত দেহের  নীচে চাপা পড়ে ছিল তাঁর ভাই। সেখান থেকে উদ্ধার করে দেবাশিসকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছে সে৷ মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর চোট রয়েছে তার।