কলকাতা: কমবেশি আমরা সকলেই রেল সফর করে থাকি। অনেকের জীবনের সঙ্গে রেল আবার ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। ট্রেনে চেপে দূরদেশে ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা৷ আমরা রেলে সওয়ারির মজাটা লুটেপুটে নিলেও, রেলের সিগন্যাল নিয়ে কখনও মাথা ঘামিয়েছি কি? ভেবে দেখেছি কি কোন রং-এর কী অর্থ? ওডিশার বালেশ্বরে করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর অনেক বেশি করে চর্চায় রেলের সিগন্যাল৷
লাল, হলুদ, সবুজ— তিন রঙের সিগন্যাল রয়েছে তা আমাদের সকলেরই জামা৷ কিন্তু, জানেন কি একেক রকম রঙেক একেক অর্থ। এখানে বলে রাখি হলুদ সিগন্যাল কিন্তু একটা নয়, দুটো। ওয়ান ইয়েলো এবং ডাবল ইয়েলো। দুটি সিগন্যালের অর্থ কিন্তু আলাদা। ট্রেন চালানোর সময় চালক ও সহ-চালক উভয়কেই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সিগন্যালের দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
প্রথমেই বলি ‘গ্রিন’ বা সবুজ সিগন্যালের কথা। এর অর্থ হল সামনের রেলপথ ক্লিয়ার রয়েছে। নির্ধারিত সীমার মধ্যে ট্রেন এগিয়ে নিয়ে যান। এরপরেই আসা যাক ‘ডাবল ইয়েলো’ কিংবা দুটো হলুদ সিগন্যালের কথায়। হলুদ রঙের অর্থ হল ‘অ্যাটেনশন’। তীব্র গতিতে ধাবমান ট্রেনের চালককে গতি কমানোর নির্দেশ দেয় এই সিগন্যাল। এরপরই আসে ‘ওয়ান ইয়েলো’ ও ‘রেড’ সিগন্যাল বা লাল সঙ্কেত। একবার হলুদ সিগন্যাল হলে বুধতে হবে ‘কশন’। মানে সতর্ক থাকুন৷ ট্রেনের গতি কমিয়ে গাড়ি থামানোর প্রস্তুতি নিন। শেষে আসে রেড বা লাল সিগন্যাল। যার অর্থ ‘স্টপ’।
তবে, রেল কর্তাদের কথায়, ডাবল ইয়েলোর পর সবসময় যে ওয়ান ইয়েলো সিগন্যাল আসবে তেমনটা না৷ যদি দু’বার হলুদ সিগন্যালের পর দেখা যায় সামনের রাস্তা ক্লিয়ার আছে, তাহলে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয় চালককে। কিন্তু ডাবল ইয়েলোর পর ওয়ান ইয়েলো এলে বুঝে নিতে হবে লাল সঙ্কেত অবশ্যম্ভাবী৷ আবার ট্রেনের চালক ও সহ-চালক নিজেদের মতো করে সিগন্যাল দেখলেই হয় না, ক্রমাগত নিজেদের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে চলতে হয় রেলকর্মীদের। এই সংযোগরক্ষা করার পদ্ধতিতে বলা হয় ‘কলিং আউট অব সিগন্যাল’। স্টেশনে ঢোকা এবং বেরনোর মুখে যথাক্রমে ‘হোম’ ও ‘ডিস্ট্যান্স’ সিগন্যাল থাকে। হোম সিগন্যাল দেখে বুঝতে হবে কোন প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢুকবে। আর ডিস্ট্যান্স বলে দেয় স্টেশন থেকে বেরিয়ে কোন লাইনে উঠতে হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>