শিক্ষক নিয়োগে ‘সুপ্রিম’ জয়, অবশেষে কপাল খুলছে বহু পরীক্ষার্থীর

নয়াদিল্লি: পিটিটিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেলে রাজ্য সরকার৷ শীর্ষ আদালতের নির্দেশে চূড়ান্ত বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পিটিটিআই মামলাকারীদের নিয়োগের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের৷ আজ সুপ্রিম কোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ শেষ করতে হবে৷ আর তা না হলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে রুল জারিল

শিক্ষক নিয়োগে ‘সুপ্রিম’ জয়, অবশেষে কপাল খুলছে বহু পরীক্ষার্থীর

নয়াদিল্লি: পিটিটিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেলে রাজ্য সরকার৷ শীর্ষ আদালতের নির্দেশে চূড়ান্ত বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পিটিটিআই মামলাকারীদের নিয়োগের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের৷

আজ সুপ্রিম কোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ শেষ করতে হবে৷ আর তা না হলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে রুল জারিল হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষা সচিবের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেছে শীর্ষ আদালত৷ আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তীর শুনানি রয়েছে৷

পিটিটিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আগেই মুখ পুড়িয়েছিল রাজ্য সরকার৷ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জয় পান পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা৷ চলতি বছর ২৪ জানুয়ারি দেশের শীর্ষ আদালত পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেয়৷ প্রয়োজনে শূন্যপদ তৈরি করে চাকরি দেওয়ার বিষয়েও জারি হয় নির্দেশ৷ অভিযোগ, সেই নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় ফের শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীরা৷ আজ, সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত৷

আদালত অবমাননার মামলার দায়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিবকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ আদালতের নির্দেশের পরও কেন তা কার্যকর করা হল না? তাও বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়৷ চলতি বছরের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কাউল ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়োগের রায় ঘোষণা করে৷ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১০-এর মধ্যে যেসব পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা হাইকোর্ট অথবা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তাঁদের চাকরি পাবেন বলেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়৷ অভিযোগ, তা কার্যকর হয়নি৷ এই নিয়েই দায়ের হয় মামলা৷

২০০৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ ২০০৯ সালে পরীক্ষা হয়৷ কিন্তু, সরকার প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের প্রাপ্য ২২ নম্বর দিতে রাজি না হওয়ায় বাধে বিপত্তি৷ কারণ হিসাবে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী রাজ্যের পিটিটিআই প্রতিষ্ঠানগুলির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ ফলে নম্বর দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়৷ সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + seven =