কলকাতা: ফের আইনি জটে থমকে গেল উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ নিয়োগের উপর আরও এক দফায় স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের৷ আর তার জেরেই প্রশ্নের মুখে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ৷ প্রশ্নের মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের স্বচ্ছতা৷
ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মামলাকারীদের নথি যাচাই ও দুই দফায় ইন্টার্ভিউ নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার চাকরিপ্রার্থীক ইন্টার্ভিউ প্রক্রিয়াও শেষ করে ফেলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ কিন্তু মেধা তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ বজায় রাখল কলকাতা হাইকোর্ট৷
যদিও এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে মেধাতালিকা প্রকাশ করার কথা জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া চাকরিপ্রার্থীর নম্বার সহ নামের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয় আদালত৷ কিন্তু সেই মামলার শুনানিতে কমিশনের তরফে পালটা যুক্তি খাড়া করা হয়৷ নিয়োগে স্বচ্ছতা ও গোপনীয়তার প্রসঙ্গ তুলে সেই তালিকা প্রকাশ করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে চলছে এই মামলা৷ আজ ছিল এই মামলার শুনানি৷ কিন্তু সওয়াল-জবাব শেষে কোনও রফা সূত্র না তৈরি হওয়ায় ফের স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ২১ দিন বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের৷
চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রশিক্ষণ চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউতে ডেকেছে এবং কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও নিয়োগে ডাক পেয়েছেন বহু পরীক্ষার্থী৷ এই অভিযোগে দায়ের হয় মামলা৷ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট মামলাকারীদের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দেয় কমিশনকে৷ মামলাকারীদের ভেরিফিকেশ ও ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তিও দেয় কমিশন৷
কিন্তু ঠিক কোন কোন চাকরি প্রার্থীকে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়েছে, তার তালিকা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ না হয় মামলার জটিলতা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে৷ আর তার জেরেই থমকে রয়েছে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ৷ তবে কেন সেই তালিকা প্রকাশ করছে না কমিশন? এই নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন৷ নিয়োগ পর্ব দ্রুত মেটাতে মামলা নিষ্পত্তির দিকে কেন পা বাড়াচ্ছে না স্কুল সার্ভিস কমিশন? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সফল চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ তাঁদের দাবি অবিলম্বে মামলা নিষ্পত্তি করে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ পর্ব শুরু করুক কমিশন৷