কলকাতা: শিক্ষক দিবসের মঞ্চ থেকে গত ৭ বছরের রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শিক্ষা দপ্তর গত সাত বছরে ঠিক কী কী কাজ করেছে, তাও শিক্ষক দিবসের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে গত ৭ বছরে কত শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে তারও পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
শিক্ষক নিয়োগের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত সাত বছরে প্রাথমিকে ৫০ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে৷ ২৭ হাজার ৫৭২ জন উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে৷ ৭ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯১২ জন শিক্ষক নিয়োগের পর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, রাজ্য সরকার অনুমোদিত অস্থায়ী শিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে আনা হয়েছে৷ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তাঁরা এই সুবিধা পাচ্ছেন বলেও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাতৃকালিন ছুটির পাশাপাশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের পিতৃত্বকালীন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে৷ সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলির লাইবেরিয়ার, ডেপুটি লাইবেরিয়ার-সহ লাইব্রেরিয়ানদের শিক্ষকের মর্যাদা দিয়েছে ‘মা-মাটি-মানুষে’র সরকার৷ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের অবসর গ্রহণের বয়স ৬০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর করা হয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকদের বেড়াতে যাওয়ার ভাতা প্রদান করা হয় বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
শিক্ষকদের পাশে দিদির সরকার#TeachersDay pic.twitter.com/kCTaNFCvrf
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 5, 2019
কিন্তু, শিক্ষক নিয়োগের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলেও আগামী দিনে আরও কত সংখ্যক শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ হবে অথবা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কোনও ঘোষণা সেভাবে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেননি বলেও অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ মুখ্যমন্ত্রী তরফে হবু শিক্ষকদের জন্য কোনও ঘোষণা না থাকায় চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানান বিতর্ক৷ কেননা শিক্ষক নিয়োগে লাগামছাড়া দুর্নীতি ও মামলার গেরোয় এই মুহূর্তে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে রয়েছে৷ প্যানেল প্রকাশের মুখে থমকে রয়েছে নিয়োগ৷ গত দীর্ঘ চার বছর ধরে ঝুলে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগের ভবিষ্যৎ৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আগামীদিনের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কোন সুখবর না থাকায় শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা৷ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে নানান ক্ষোভ৷