কলকাতা: ছিল গণতান্ত্রিক কর্মসূচি৷ তিন দফা দাবির ভিত্তিতে ডাকা হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে নবান্ন অভিযান৷ বেকার ভাতা বৃদ্ধি, শিক্ষায় খরচ কমানো ও চাকরির দাবিতে বাম-যুব সংগঠনের ডাকা বিশাল মিছিল রুখে ফের বাংলার গণতন্ত্রণের বিজ্ঞাপন দিল রাজ্যের পুলিশ!
আশঙ্কা ছিল৷ এবার সেই সমস্ত আশঙ্কাই সত্যি করে বাম যুব ছাত্র সংগঠনের নবান্ন অভিযান রুখে দিতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করল পুলিশ৷ আর তার জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মল্লিক ফটক এলাকা৷ জলকামান, লাঠিচার্জ, কাদানি গ্যাস কিছুই বাদ গেল না৷ বাম ছাত্র যুব সংগঠনের কর্মীদের বেশ কয়েকজনকে মাথা ফাটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন রুখে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ৷ অভিযোগ বাম নেতৃত্বের৷
#WATCH Howrah: Youth wing and student wing of Communist Party of India (Marxist), stage a protest alleging unemployment in the state. Water-cannons used by the police against the protesters. #WestBengal pic.twitter.com/c4qNDIPCBm
— ANI (@ANI) September 13, 2019
চাকরির আবেদন নিয়ে বাম যুব ছাত্র সংগঠনের নবান্ন অভিযান রুখতে তৎপরতা আগেই শুরু করেছিল পুলিশ৷ একইসঙ্গে বঙ্কিম সেতু ও মল্লিক ফটকের কাছে বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়৷ গড়ে তোলা হয়েছে ব্যারিকেড৷ প্রস্তুত রাখা হয় কয়েকটি জলকামান৷ মিছিল রুখতে ব্যবসহার করা হয় জল কামান৷ কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়ে, লাঠি চালিয়ে মল্লিক ফটকে মিছিল রুখতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে৷ পুলিশ-বাম কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ জখম হয়েছেন উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন৷ অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাঁদের হাসপাতালে পৌঁঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
প্রশ্ন উঠছে, কেন বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের মিছিল রুখতে কেন এতটা তৎপরতা দেখাল পুলিশ? এইভাবে কেন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠল প্রশাসন? গণতান্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচি এভাবে কেন ভেস্তে দিল পুলিশ? ছাত্র সংগঠনের দাবি, আজ নবান্নে ডেপুটেশন কর্মসূচির জন্য নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টি প্রথম ও প্রধান বিবেচনার বিষয় হয়ে থাকে, তাহলে কেন যুব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি দলকে নবান্নে পাঠানোর ব্যবস্থা করল না পুলিশ? কেন তাদের ডেপুটেশন জমা দিতে দেওয়া হল না৷ গণতান্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচিতে এভাবে পুলিশ কেন এতটা বেশি তৎপর হল? মূলত প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বাম নেতৃত্ব৷