নয়াদিল্লি: অবশেষে অপেক্ষার অবসান! ন’বছর পর খোঁজ মিলল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এমএ ক্লাসের সহপাঠীর খোঁজ। পুরোপুরি অবশ্য মেসেনি৷ তবে যতটুকু জানা গেল, তাই বা কম কী! বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান সাংবাদিক শীলা ভাট বলেন, ‘১৯৮১ সালে আমার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম আলাপ হয়। তখন তিনি স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও কংগ্রেস নেতৃত্ব বারবার প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ তাঁর পড়াশোনা নিয়ে ধেয়ে এসেছে নানা কটাক্ষ। যদিও প্রধানমন্ত্রী কোনও দিনই এ সব কথায় কর্ণপাত করেননি।
ওই সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গও তুসে ধরেছেন শীলা দেবী। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁর মেন্টর ছিলেন প্রবীণ শেঠ। উনি আমারও মেন্টর ছিলেন।’ মোদী পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী ছিলেন বলেও জানিয়েছেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক। প্রধানমন্ত্রীর এক সহপাঠীকেও তিনি চেনেন বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘মোদীর সেই সহপাঠী একজন আইনজীবী। কংগ্রেস নেতারা আর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যখন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তাঁকে তুলোধোনা করছে, তখন আমি তাঁকে ফোনও করেছিলাম। মুখ খুলতে বলেছিলাম। কিন্তু উনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।’’ তবে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা মোদী আদৌ শেষ করেছিলেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু শীলা দেবীর এই বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী যে স্নাতক, তা নিয়ে অন্তত আর কোনও ‘সন্দেহ’ রইল না।