নয়াদিল্লি: সব কিছু ঠিক থাকলে ৪০ দিন পর ইতিহাস সৃষ্টি হতে চলেছে। আগামী ২৩ থেকে ২৪ অগাস্টের মধ্যে চাঁদের বুকে অবতরণ করতে চলছে ‘চন্দ্রযান ৩’। ‘ইসরো’র তৈরি ‘জিও-সিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ (জিএসএলভি)-মার্ক-৩ যাতে সফল ভাবে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ড করতে পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷ আপাতত ধীরে ধীরে একটার পর একটা ধাপ পেরিয়ে চাঁদের পথে এগিয়ে চলেছে ‘চন্দ্রযান-৩’। কিন্তু চাঁদে সফল অবতরণ করার পর ঠিক কী কী কাজ করবে এটি?
এই উৎক্ষেপণ নিয়ে গোটা দেশ গর্বিত এবং একই সঙ্গে কৌতূহলী। আগের চন্দ্র অভিযানে যে কাজ অল্পের জন্য বাকি রয়ে গিয়েছিল তা এবার যাতে সম্পূর্ণ হয় সেই প্রার্থনা করছেন সকলেই। তবে চাঁদে নেমে ‘চন্দ্রযান ৩’ কী কী কাজ করবে তা জানার আগে জানতে হবে চাঁদের কোথায় অবতরণ হবে এটির। আসলে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যেখানে আঁধার থাকে, সেই জায়গায় অবতরণ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩।’ এর ঠিক আগের অভিযানে এই অংশেই নামতে চেয়েছিল ‘চন্দ্রযান ২’। তবে সেই সময় শেষ লহমায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার। কিন্তু এখন ভারত পুরোপুরি আশাবাদী এর সফল অবতরণ নিয়ে।
কিন্তু কী কী কাজ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের ওই অংশে জল খোঁজার পাশাপাশি মাটিতে টেলিস্কোপ বসানোর কাজ করবে। এছাড়া বেতার তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা আর সৌররশ্মির বিকিরন পরীক্ষা করবে এটি। পাশাপাশি চাঁদের জন্ম রহস্য সন্ধান করার কাজ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। প্রসঙ্গত, ইসরোর এই চাঁদের সফরের কেন্দ্রে রয়েছে এলভিএম-৩ রকেট। যা চন্দ্রযান ৩ কে শক্তি জোগাবে এবং পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে পৌঁছে দেবে। এর আগেও বহুবার কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সময় এলভিএম-৩ রকেট ব্যবহার করা হয়েছে। একেই বলা হয় ভারতীয় রকেটের ‘বাহুবলী’ ৷ রকেটটি লম্বায় প্রায় ৪৩.৫ মিটার। উচ্চতায় দিল্লির কুতুব মিনারের অর্ধেক।