কলকাতা: আছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ৷ অনিচ্ছুক শিক্ষকদের দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাজ করানো যাবে না! অভিযোগ, তবুও সেই শিক্ষকদের দিয়ে ভোটের তালিকায় নাম তোলা থেকে শুরু করে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করানো হচ্ছে৷ এক প্রকার বাধ্য করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ আর এরই প্রতিবাদে এবার বিডিও অফিস ঘেরাও প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের৷
শিক্ষা বহির্ভূত ডিও, বিএলও ডিউটি কাজ করার প্রতিবাদে বিডিও অফিসের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান ৫০ জন শিক্ষক৷ তাঁদের দাবি, শিক্ষকরা কোনও ভাবেই শিক্ষা বহির্ভূত কাজ করবেন না৷ বয়কট করবেন নির্বাচন কমিশনের ডিও, বিএলও ডিউটি৷ আজ শুক্রবার রামনগর ১ নম্বর ব্লকের প্রায় ৫০ জন শিক্ষক একত্রিত হয়ে বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান৷ অফিস টাইমের শিক্ষা বহির্ভূত নির্বাচন কমিশনের কাজ করবেন না বলে জানান তাঁরা৷ এই নিয়ে বিডিওর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তা করা সম্ভব হয়নি৷ এরপর প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনের কাজ করার আবেদন নষ্ট করে ফেলেন শিক্ষকদের একাংশ জানান প্রতিবাদ৷
বিডিও অফিসের কর্তাদের যুক্তি, মূলত যে সমস্ত স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা বেশি বা পড়ুয়াদের তুলনায় শিক্ষকদের সংখ্যা বেশি, সেই স্কুলগুলিকে চিহ্নিত করে এই ডিউটি দেওয়া হচ্ছে৷ এতে পঠন-পাঠনের কোন সমস্যা হবে না বলেও জানানো হয়েছে৷ প্রশাসনের তরফে শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষা দেওয়ার সময়ে শিক্ষা বহির্ভূত কোনও কাজ তাঁরা করবেন না৷ এই নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলেও জানানো হয়েছে অভিযোগ৷
অভিযোগ, ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা সংশোধন করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের কাজে লাগানো হচ্ছে৷ ছুটি বাতিল করে টানা এক মাস কাজ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা৷ ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মাসভর খাটিয়ে নেওয়ার পর মাস শেষে দেওয়া হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকার সান্মানিক ভাতা৷ আর এই নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ৷শিক্ষকতা বাইরে শিক্ষকদের দিয়ে অন্য কোন কাজ করানো যাবে না বলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ এক্ষেত্রে যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷