কলকাতা: লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বেঙ্গালুরুতে একজোট হয়েছে দেশের ২৬টি বিরোধী দল৷ মঙ্গলবার তাঁদের বৈঠক শুরুর আগে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে তীব্র কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তিনি বলেন, “চব্বিশের নির্বাচনে আমাদের সরকারকে পুর্নির্বাচিত করে সুশাসনের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য মানুষ মনস্থির করে ফেলেছে। অথচ দেশের দুর্দশার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁরা এখন নতুন দোকান খুলে বসেছেন৷” বিরোধী জোটের বৈঠক নিয়ে তাঁর টিপ্পনি, “এঁদের দেখে একটা অউধি কবিতার কয়েকটা পংক্তি মনে পড়ছে— এঁদের লেভেল এক রকম আর প্রোডাক্ট অন্যরকম। এঁরা দেশকে একটাই প্রতিশ্রুতি দিতে পারে, তা হল লাগামহীন দুর্নীতি।”
বেঙ্গালুরুতে যে ২৬টি দল জোট বেঁধেছে, তাতে সর্বভারতীয় দল বলতে রয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। বাকিরা সকলেই আঞ্চলিক৷ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ডিএমকে কিংবা শরদ পাওয়ারের এনসিপি, মেহবুবা মুফতির পিডিপি বা লালু প্রসাদের আরজেডি, সবকটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মোদী জমানায় এই দলগুলির কোনও না কোনও নেতার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই তদন্ত করেছে। তা নিয়েও এদিন খোঁচা দিতে ছাড়েননি নমো৷ তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের মূল কথা হল, অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল। কিন্তু এঁদের সবটাই পরিবারের জন্য। না খাতা না বহি, জো পরিবার কহে ওহি সহি। নিজের পরিবার বাঁচাও, পরিবারের জন্য দেশের সম্পত্তি লুঠ করে যাও।”
এখানেই থামেননি মোদী৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘বেঙ্গালুরুতে যাঁরা একজোট হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ২০ লক্ষ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এঁদের মধ্যে কেউ আবার দুর্নীতি কাণ্ডে জেলে গেলে জোটে তাঁদের দর বেড়ে যায়। কারও গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তাঁদের দর আরও বেশি হয়৷ কোনও রাজ্যে এঁদের কারও বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই তদন্ত শুরু করলে বাকিরা তাঁর পক্ষ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন৷’’
জবাবে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী এত নির্লজ্জ হতে পারেন, আগে জানা ছিল না। এক হাত নেনে তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায়৷ তিনি বলেন, “ভয় পেয়েছেন মোদী, যদি গদি উল্টে যায়!” তিনি আরও বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীও একটা পরিবার তৈরি করেছেন। রাজনাথ সিংয়ে ছেলে, ধর্মেন্দ্র প্রধান, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া—এঁরা কি পরিবারতন্ত্রের প্রোডাক্ট নয়?”