নয়াদিল্লি: চব্বিশের লক্ষে গাঁটছড়া বাঁধছে ছাব্বিশটি রাজনৈতিক দল৷ বিরোধীরা শক্তি বাড়াতেই উদ্বেগে গেরুয়া শিবির৷ খানিকটা আতঙ্কিত হয়েই শরিক জোটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল এনডিএ শিবির। কী ভাবে এনডিএ-র শরিক সংখ্যা বেশি দেখানো যায়, সেদিকেই এখন নজর বিজেপি নেতৃত্বের। আর এটাকে বিরোধী জোটের পাল্টা অস্ত্র হিসাবে তুলে ধরতেও তৎপর হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির।
সোমবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা জানান, মঙ্গলবার রাজধানীর অশোকা হোটেলে এনডিএ-র বৈঠক৷ সেখানে উপস্থিত থাকবে ৩৮টি দল৷ তবে, কোন কোন দল উপস্থিত থাকবে সেই তালিকা প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। যদিও সূত্র মারফত পরে সেই তালিকা প্রকাশ্যে আসে৷ জানা গিয়েছে, এনডিএ জোটে থাকছে বিমল গুরুং-এর দল৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে নাড্ডার মুখে শোনা যায় মোদী সরকারের ৯ বছরের সাফল্যের খতিয়ান৷ সেই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানান, এনডিএ তথা বিজেপি দুর্নীতির ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলে।
অজিত পাওয়ারের মতো দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের এনডিএ-তে সামিল করা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে নাড্ডাকে। কিন্তু সেই প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি বলেন, “আইন তার নিজের পথে চলবে, আমাদের নীতি, ভাবধারা মেনে যদি কেউ আসতে চায় তাহলে বাধা নেই, সবাই মিলে উন্নয়ন করতে হবে।” এদিনই আবার নাড্ডার হাত ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে এনডিএ’তে যোগ দেয় চিরাগ পাসোয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টি (পাশোয়ান)।
বিরোধীদের জোট প্রক্রিয়ায় চাপে পড়েই কি এনডিএ-র সম্প্রসারণ করা হচ্ছে? যদিও সে প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি৷ তবে তার আগেই অবশ্য এনডিএ-র সঙ্গে তুলনা টেনে বিরোধী জোটকে নিশানা করে নাড্ডা বলেছিলেন, ‘‘বিরোধীদের কোনও নেতাও নেই, নীতিও নেই। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও নেই৷’’ বিরোধীরা নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতেই জোটবদ্ধ হয়েছে বলেও কটাক্ষও করেন তিনি।