সংস্কৃত পণ্ডিতদের জন্য বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

কলকাতা: পুরোহিতদের পর এবার পুজোর মুখে টোল পণ্ডিতদের নিয়ে সরকারি সভার আয়োজন করল স্কুল শিক্ষা দপ্তর৷ সল্টলেকে সংস্কৃত টোল পণ্ডিতদের সরকারি সমাবেশ মঞ্চ থেকে একগুচ্ছ ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ সংস্কৃত পণ্ডিতদের মহার্ঘ ভাতা সহ গ্রাচুইটি বিষয়টি সরকার ভেবে দেখছে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ টোলের সংস্কৃত পণ্ডিতদের পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে,

সংস্কৃত পণ্ডিতদের জন্য বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

কলকাতা: পুরোহিতদের পর এবার পুজোর মুখে টোল পণ্ডিতদের নিয়ে সরকারি সভার আয়োজন করল স্কুল শিক্ষা দপ্তর৷ সল্টলেকে সংস্কৃত টোল পণ্ডিতদের সরকারি সমাবেশ মঞ্চ থেকে একগুচ্ছ ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ সংস্কৃত পণ্ডিতদের মহার্ঘ ভাতা সহ গ্রাচুইটি বিষয়টি সরকার ভেবে দেখছে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ টোলের সংস্কৃত পণ্ডিতদের পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে৷

জানা গিয়েছে, টোলকে কীভাবে বাঁচানো যায়, সংস্কৃত চর্চাকে কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে৷ ঠিক হয়েছে, রাজ্যজুড়ে ৫০৩ জন সংস্কৃত পণ্ডিত রয়েছেন, তাঁদের একাধিক বেতন বৃদ্ধি-সহ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ শিক্ষা দপ্তরের তৈরি করা কমিটিতে তৃণমূলের বিধায়ক জ্যোতির্ময় করকে রাখা হয়েছে৷ একইসঙ্গে পণ্ডিতদের প্রতিনিধি দলকে রাখা হয়েছে ওই কমিটিতে৷ দলকে বাঁচাতে ও পণ্ডিতদের সুরক্ষা দিতে মহার্ঘ ভাতার সুনিশ্চিত করার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কমিটির প্রস্তাব পাঠানোর পর তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে৷

পণ্ডিতদের পুনরুজ্জীবনে রাজ্য সরকার মানবিক বলেও দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ মঞ্চ থেকেই শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, স্কুলের পরিকাঠামো ও পড়ুয়াদের আকর্ষণ বাড়াতে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি৷ ৮-১০ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমরা এই বিষয়ে কথা বলব৷ কারণ এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কাজ করেন৷ অনেকেই বলেন এঁদের পেছনে আছেন৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ এঁদের পেছনে নেই৷

রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, পণ্ডিতদের কথা আগে যদি রাজ্য সরকার ভাবত তাহলে তাঁদের এই দুর্দশার মুখে পড়তে হত না৷ কেন তাঁরা আজ দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন? কেন তাঁদের কাপড়-ভাত জুটছে না? এতদিন পরে কেন সংস্কৃত পণ্ডিতদের কথা মনে পড়ল রাজ্য সরকারের? সংস্কৃতকে মৃত ভাষা বলে ঘোষণা করেছিল সিপিএম৷ কিন্তু এতদিন পর রাজ্য সরকার কেন উদ্যোগ নিল না? পণ্ডিতদের যদি বুদ্ধি-বিবেচনা থাকে তাহলে পার্থ বাবুকে তাঁরা বিশ্বাস করবেন না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + 15 =