মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরে নবনিযুক্ত ডিআইকে সংবর্ধনা ও স্টাফ প্যাটার্নের বিষয়ে ডেপুটেশন শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের৷ শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এ বিষয়ে শিক্ষা দপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করবে৷ আপাতত স্টাফ প্যাটার্ন দাখিল করা বাধ্যবাধকতা থাকছে না৷ শিক্ষক সংগঠনের ডেপুটেশনের কপি শিক্ষা দপ্তরের পাঠাবেন বলেও দিয়েছেন আশ্বাস৷ ইতিমধ্যেই বিকাশ ভবনে গিয়ে শিক্ষা দপ্তরে এই বিষয়ে লিখিতভাবে ঐক্য মঞ্চের দাবি পেশ করেছে৷
এবিষয়ে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন, নর্মাল সেকশনে নিয়োজিত শিক্ষকদের অন্যায় ভাবে উচ্চ প্রাথমিক ও সেকেন্ডারিতে আনা হচ্ছে৷ ভবিষ্যতে উচ্চ প্রাথমিক, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারির শিক্ষকদের আলাদা আলাদা স্কেলে আনা হলে আর্থিক ও পদমর্যাদাগত অবনমন ঘটার আশঙ্কা থাকছে৷ জুনিয়ার ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে বহুসংখ্যক শিক্ষক যাঁরা নর্মাল সেকশনে অনার্স অথবা পিজি স্কেলে নিয়োজিত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে জুনিয়ার স্কুলের সমস্ত শিক্ষকদের ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষকদের উচ্চ প্রাথমিকে নামিয়ে আনা হবে৷ নর্মাল সেকশনে নিযুক্ত হিসাবে অ্যাপ্রুভাল থাকলেও কেন জবরদস্তি মূলক ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হচ্ছে? কোনও অভিসন্ধি নেই তো? কোনও সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন না দিয়ে প্রধান শিক্ষকের উপর সম্পূর্ণভাবে এই দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে বিদ্যালয়গুলিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে? স্টাফ রুমে শিক্ষকদের মধ্যে ঐক্যের সম্পর্ককে নষ্ট করা হচ্ছে সুকৌশলে! মাধ্যমিক A উচ্চ মাধ্যমিকস্তরে ক্লাস নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আপার প্রাইমারিতে নামিয়ে আনার ফলে উঁচু শ্রেণিগুলিতে ক্লাস করার বিষয়ে বিদ্যালয়গুলিতে আরও জটিলতা তৈরি হবে৷’’
তাঁর আরও দাবি, ‘‘স্টাফ প্যাটার্নের নাম করে শিক্ষকদের ক্যাটাগরি পরিবর্তনের ফলে মিউচুয়াল ট্রান্সফার বা জেনারেল ট্রান্সফার প্রক্রিয়াটি প্রায় অচল হয়ে যাবে৷ কেননা, তখন একই ক্যাটাগরি ছাড়া ডিগ্রি একই থাকলেও মিউচুয়াল ট্রান্সফারের কোন সুযোগ পাবে না৷ জেনারেল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রেও সুযোগ সংকুচিত হবে৷ এই প্রক্রিয়ায় ক্যাটাগরি পরিবর্তনের ফলে পূর্বে নিয়োজিত সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অ্যাপ্রুভাল কপিগুলি বৈধ থাকবে তো? সর্বোপরি, শিক্ষা দপ্তর থেকে পরিষ্কার নোটিফিকেশন না করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্পূর্ণভাবে অন্ধকারে রেখে তাঁদের কোনও মতামত না নিয়ে তাঁদেরই ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তড়িঘড়ি এই পরিবর্তনের পরিকল্পনা কেন?’’
কিংকর বাবু বলেন, ‘‘উল্লেখিত প্রতিটি প্রশ্নের যথাযথ সমাধান না করে এবং শিক্ষকদের মতামত না নিয়ে চুপিসারে এই স্টাফ প্যাটার্ন দাখিল করা চলবে না৷ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এই ধোঁয়াশাচ্ছন্ন স্টাফ প্যাটার্ন দাখিলের সিদ্ধান্ত৷ পশ্চিম মেদিনীপুরে নবনিযুক্ত ডিআই চাপেশ্বর সর্দার ডেপুটেশনে জানান, কোনও বিদ্যালয়কে স্টাফ প্যাটার্নের বিষয়ে এখন দাখিল করতে হবে না৷ খুব শীঘ্রই শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা প্রকাশিত হবে৷ তারপর বিষয়টি পরিষ্কার হবে৷’’
এদিন বিকাশ ভবনে গিয়ে ঐক্য মঞ্চের সভাপতি বিশ্বজিৎ মিত্র, সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য অয়ন পাল ও অনামিকা চক্রবর্তী স্টাফ প্যাটার্নের বিষয়ে লিখিতভাবে দাবি পেশ করে আসেন৷