ইম্ফল: উত্তর-পূর্বের মণিপুর রাজ্যের অবস্থা নিয়ে দিনদিন উদ্বেগ বাড়ছে দেশের বাকি অংশে। লাগাতার অশান্তি, বিক্ষোভ, হিংসার ঘটনায় রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে মৃত্যু এবং বর্বরতার ঘটনা। এতদিন তো হামলা, মৃত্যু, আহত হওয়ার খবর এসেছে। তবে সম্প্রতি নারীদের অত্যাচারের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা নিয়ে নিন্দার শেষ নেই। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই নিয়ে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল। দাবি করা হয়েছে, মহিলাদের বিবস্ত্র করে হাঁটানোর কথা আগেই জানতে পেরেছিল জাতীয় মহিলা কমিশন, কিন্তু তারা অভিযোগ পাত্তা দেয়নি!
মোট তিন জন মহিলার ওপর যৌন নির্যাতন এবং তাঁদের মধ্যে দু’জনকে নগ্ন করে হাঁটানোর অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তের বাড়ি ভেঙে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে গিয়েছ। কিন্তু ক্ষোভ বাড়ছে জাতীয় মহিলা কমিশনের ওপর। কারণ অভিযোগ, মহিলা কমিশন আগে থেকেই গণধর্ষণ এবং বিবস্ত্র করে হাঁটানোর মতো ঘটনার অভিযোগ পেয়েছিল কিন্তু কিছুই করেনি। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন আজ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন এই বিষয়টি। তবে তিনি দায় চাপিয়েছেন সে রাজ্যের বিজেপি সরকারে কাঁধে। তাঁর কথায়, গত তিন মাস ধরে মণিপুর সরকারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েও কোনও উত্তর পাননি তারা।
আপাতত ঘটনার এফআইআর পত্র থেকে জানা গিয়েছে, গত ৪ মে বোনকে গণধর্ষিতা হওয়া থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁকেই খুন করে উন্মত্ত জনতা। এরপর একাধিক খুন হয় এলাকায় এবং বহু ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরেই দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়। শুধু তাই নয়, ওই অবস্থাতেও তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয়। থৌবল জেলায় নংপোক সেকমাই থানার অদূরে ওই দুই মহিলার ওপর হামলা হয়।