ইম্ফল: তিনি দেশের জন্য কার্গিল যুদ্ধে লড়েছেন, শ্রীলঙ্কায় যাওয়া শান্তিসেনার অঙ্গও ছিলেন। সেই সেনাকর্মীর স্ত্রীকেই মণিপুরে বিবস্ত্র হতে হয়েছে! সম্প্রতি যে দুজন মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তার মধ্য একজন মহিলার স্বামী এই প্রাক্তন সেনাকর্মী। এখন তাঁর আক্ষেপ যে তিনি নিজের স্ত্রী, গ্রামবাসী কাউকেই রক্ষা করতে পারেননি। বুকফাটা কান্না, যন্ত্রণায় তিনি ভেঙে পড়েছেন।
জানা গিয়েছে, মোট তিন জন মহিলার ওপর যৌন নির্যাতন এবং তাঁদের মধ্যে দু’জনকে নগ্ন করে হাঁটানো হয়েছিল। গত ৪ মে বোনকে গণধর্ষিতা হওয়া থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁকেই খুন করে উন্মত্ত জনতা। এরপর একাধিক খুন হয় এলাকায় এবং বহু ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরেই দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়। তাদের মধ্যেই একজন এই হতভাগ্য প্রাক্তন সেনাকর্মীর স্ত্রী। তিনি জানাচ্ছেন, তাদের গ্রামের বাড়িগুলি পরপর জ্বালিয়ে দেওয়াতে তারা পাশের এক জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখনই নিজের স্ত্রীর থেকে তিনি আলাদা হয়ে যান। পরে হামলাকারীরা জঙ্গল থেকেই তাদের ধরে ফেলে। ব্যক্তি জানাচ্ছেন, দূর থেকে দেখতে পেয়েছিলেন যে হামলাকারীরা স্ত্রীকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তিনি কিছু করতে পারেননি।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ক্ষোভ বাড়ছে জাতীয় মহিলা কমিশনের ওপর। কারণ অভিযোগ, মহিলা কমিশন আগে থেকেই গণধর্ষণ এবং বিবস্ত্র করে হাঁটানোর মতো ঘটনার অভিযোগ পেয়েছিল কিন্তু কিছুই করেনি। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন আজ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন এই বিষয়টি। তবে তিনি দায় চাপিয়েছেন সে রাজ্যের বিজেপি সরকারে কাঁধে। তাঁর কথায়, গত তিন মাস ধরে মণিপুর সরকারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েও কোনও উত্তর পাননি তারা।