নয়াদিল্লি: ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী৷ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়৷ সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি এবং লোকসভার পদও খোয়ান। সাজা হিসেবে ২ বছর জেলযাত্রা হতে পারত তাঁর কিন্তু আপাতত বিরাট স্বস্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর দু’বছরের জেলের সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তাই এখনই জেলে যেতে হচ্ছে না রাহুল গান্ধীকে। তাহলে কি তিনি সাংসদ পদ আবার ফিরে পাবেন? তা নিয়ে জল্পনা।
গুজরাতে সুরাট জেলা আদালত রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। রাহুল এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাত হাইকোর্টে আবেদন করলেও আদালত আগের নির্দেশই বজায় রেখেছিল। অর্থাৎ জেলযাত্রা প্রায় নিশ্চিত ছিল কংগ্রেস নেতার। কিন্তু এরপর তিনি একই আবেদন শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিলেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবশেষে তাঁকে বড় স্বস্তি দিয়েছে। আর এই রায়ের পরেই রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফেরার বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতের জনপ্রতিনিধি আইনের ধারা ৮ (৩) অনুযায়ী, কোনও সাংসদ যদি কোনও অপরাধের জন্য দু’বছর বা তাঁর বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হতে পারে। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি পরবর্তী ৮ বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাফাল দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। সেই সময় কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। নীরব মোদী থেকে ললিত মোদী, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। সেই সময় কটাক্ষের সুরে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘কাকতালীয় ভাবে সব চোরেদের পদবী মোদী হয় কী করে?’’ রাহুলের এই মন্তব্যেই বিতর্কের ঝড় ওঠে৷