নয়াদিল্লি: কথা ছিল ৫ অগাস্ট, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়বে চন্দ্রযান-৩৷ সেই মতোই চাঁদের পথে পা বাড়িয়ে দিল ইসরোর পাঠানো মহাকাশযান৷ সফল ভাবে ঢুকে পড়ল চাঁদের কক্ষপথে৷ ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা ইসরো ইতিমধ্যেই ‘চন্দ্রযান ৩’ র সাফল্যের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে। ইসরোর পাশাপাশি গোটা দেশ সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় ছিল। এখনও পর্যন্ত যে সকল চ্যালেঞ্জ এসেছে, সেই সকল চ্যালেঞ্জ সফল ভাবে পার করেছে৷ এবার চাঁদের বুকে ভারতের সাফল্যের ধ্বজা ওড়ানোর পালা৷ তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং৷ পালকের মতো ভাসতে ভাসতে চাঁদের পিঠে পা রাখতে পারলেই ইসরোর মুকুটে জুড়ে যাবে সাফল্যের পালক৷ প্রসঙ্গত, মহকাশচারী নিল আর্মস্ট্রংয়ের জন্মদিন ৫ অগাস্টের সন্ধ্যেয়ে চন্দ্রযান-৩ এই চ্যালেঞ্জ পার একটি বড়সড় সাফল্য এনে দিল ইসরোকে।
শনিবার সন্ধ্যায় চন্দ্রযান-৩ কে সফলভাবে চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশ করানো হয়েছে। পরবর্তী অপারেশন হল কক্ষপথ হ্রাস করে৷ এর জন্য নির্ধারিত সময় ৬ অগাস্ট রাত ১১ট৷ ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত চন্দ্রযান ৩ এর গতিবিধি সফল। সাফল্যের সঙ্গে তৃতীয় চন্দ্রযানকে চাঁদের পিঠে অবতরণ করানোই এই মুহূর্তে ইসরোর একমাত্র লক্ষ্য। কতটা সুক্ষ্মতার সঙ্গে এই অবতরণ ঘটতে চলেছে, সেই দিকেই নজর মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। চন্দ্রস্পৃষ্ঠে ইন-সিটু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা সেখানে চালাবে ভারতের এই চন্দ্রযান -৩।
Chandrayaan-3 Mission:
The spacecraft has covered about two-thirds of the distance to the moon.Lunar Orbit Injection (LOI) set for Aug 5, 2023, around 19:00 Hrs. IST. pic.twitter.com/MhIOE65w3V
— ISRO (@isro) August 4, 2023
চাঁদের চারপাশে ৫ থেকে ৬ টি কক্ষপথ পার করে এগোনোর কথা চন্দ্রযান ৩ এর। ১০০ কিলোমিটারের গোলাকার কক্ষপথ পার করে তারপরই চাঁদের মাটিতে পা রাখার মাহেন্দ্রক্ষণে এসে পৌঁছাবে৷ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের। সেই অভিযান সফল হলে ভারতের মহাকাশ গবেষণা নিঃসন্দেহে নতুন মাত্রা পাবে।
চন্দ্রযান-৩-এর প্রাথমিক গন্তব্য চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে পৌঁছে যাওয়া। সেখানেই চন্দ্রাভিযানের সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন পর্বটি অপেক্ষা করছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের জন্যে। ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যা ৫টা ৪৭ মিনিট নাগাদ রোভার প্রজ্ঞানকে পেটের ভিতরে নিয়ে সফট ল্যান্ডিং করার কথা ল্যান্ডার বিক্রমের। চার বছর আগে ঠিক ওই পর্যায়ে এসে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরোর ‘চন্দ্রযান-২’।