নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী শিবির। মঙ্গলবার লোকসভায় অনাস্থা-বিতর্ক নিয়ে আলোচনা হবে। মনে করা হচ্ছে চার মাসের মাথায় সংসদে প্রত্যাবর্তনের পর অনাস্থা-বিতর্কের সূচনা করতে পারেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার লোকসভায় অনাস্থা বিতর্ক শুরু হওয়ার আগেই রাজ্যসভায় সাসপেন্ড তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। রাজ্যসভার অধিবেশনে বিশৃঙ্খল আচরণের অভিযোগে ডেরেককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁকে পুরো বাদল অধিবেশনের জন্যেই সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়।
এদিন সকাল থেকেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভার অধিবেশন। বিতর্ক শুরু হওয়ার আগেই অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়৷ মণিপুর ইস্যুতে এদিন অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ছিল বিরোধী দলগুলির। সভা শুরু হতেই চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রবল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁদের মধ্যে এতটাই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় যে, ধনকড় তাঁর আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান। রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতেও দেখা যায় তাঁকে। ডেরেককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব পেশ করেন রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল। এরপরেই তাঁকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন চেয়রম্যান। বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার অধিবেশন।
এর আগে সোমবারও প্রবল কথা কাটাকাটি হয়েছিল ডেরেক এবং জগদীপ ধনকড়ের মধ্যে। সেদিন রাজসভায় দিল্লি অধ্যাদেশ বিল নিয়ে বিতর্ক চলছিল। তখন ডেরেক বিলের বিরোধিতায় বক্তব্য রাখছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগও করেন তিনি। তাঁকে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করার জন্য অনুরোধ করেন চেয়ারম্যান। তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি৷ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘উনি নিজেকে গণতন্ত্রের সন্তান বলে দাবি করেন, তাহলে গণতন্ত্র খর্ব করতে চাইছেন কেন? গণতন্ত্রের সন্তান কেন সংসদে এসে নিশ্চিত করাতে চান যাতে দুই-তৃতীয়াংশ বিলই অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি পাশ করানো যায়?’