ইম্ফল: জাতি সংঘর্ষে শেষ কয়েক মাসে মণিপুরের কী অবস্থা তা সকলেই জানে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানো তো দূর, দৈনন্দিন সাধারণ কাজ করাও সম্ভব ছিল না। জায়গায় জায়গায় অশান্তি, সংঘর্ষ, মৃত্যু… উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য হিংসায় জর্জরিত ছিল। কিন্তু ধীরে হলেও যেন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে মণিপুর। ইতিমধ্যেই কিছু স্কুল ছাড়া অধিকাংশ স্কুল খোলা হয়েছে। তাতে শুরু হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা। প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে স্কুল খোলায় খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরাও।
মণিপুরের ডিরেক্টরেট অফ এডুকেশন জানিয়েছেন, এখনও রাজ্যের বেশ কিছু স্কুলে আশ্রয় শিবির রয়েছে বা আধাসেনা বাহিনী আছে। সেই সব স্কুলে এখনও ক্লাস শুরু হয়নি। বাকি অধিকাংশ স্কুলই খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে যে’কটি স্কুল খোলা বাকি, সেগুলিও দ্রুত যাতে খুলে দেওয়া যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মণিপুরে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি স্কুল রয়েছে, তার মধ্যে ১০০ স্কুলে আছে সেনা শিবির। এর মধ্যে বারশো স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই। তবে এও জানানো হয়েছে, সে সব স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে এই সময়ে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস চালু হয়েছিল। এ বার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন চালু হল। কিন্তু এখনও অনেক পড়ুয়া আশ্রয় শিবিরে থাকায় স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি বা ক্লাস শুরু করতে পারেনি। তাদের বিনামূল্যে কাছের স্কুলে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। আপাতত একটাই লক্ষ্য, মণিপুরকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা। মে মাসে কুকি এবং মেইতেই দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের কারণে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর।