নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিচ্ছে না কংগ্রেস শিবির। এদিন দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে সকালে সংসদ ভবনে বৈঠক করেন দলের সাংসদরা। তারপর মিছিল করে সংসদ ভবন চত্বরে যান তারা। আর এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে কংগ্রেস, এমনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের পাশাপাশি, সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীও হাজির ছিলেন এই বৈঠকে। হাত শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজেপি সরকার গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করে চলেছে বারবার। তাই এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর যথেষ্ট কারণ রয়েছে। যদিও তারা আদতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবেন কিনা তা জানা যায়নি এখনও। আগামী কয়েক দিনেই তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা স্পষ্ট হবে। তবে গতকাল সংসদে জানানো হয়েছে, প্রিভিলেজ কমিটির সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড থাকবেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
গতকাল বিরোধীরা যে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তার জবাবি ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় দু’ঘণ্টা তিনি ভাষণ দিয়েছেন। এই ভাষণের পরেই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায় ভোটাভুটিতে। সংখ্যা গরিষ্ঠতায় অনাস্থার বিপক্ষেই ভোট গিয়েছে বেশি। আর তার পরেই কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর সাসপেনশনের প্রস্তাব আনা হয় লোকসভায় এবং তা সহজেই পাশ হয়ে যায়। আসলে জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে প্রথম দেড় ঘণ্টা বিরোধীদের নানা বিষয়ে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মণিপুর ইস্যু নিয়ে কোনও কথা না বলায় বিরোধীদের একটা বড় অংশ ওয়াক আউট করে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন কংগ্রেস সাংসদরাই। কংগ্রেস শূন্য লোকসভায় অধীরের বিরুদ্ধে সাসপেনশনের প্রস্তাব পাশ হতে তাই বেশি সময় লাগেনি।