রাষ্ট্রদ্রোহ কথাটি থাকছে না! আমূল বদল আসছে ভারতের ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে

রাষ্ট্রদ্রোহ কথাটি থাকছে না! আমূল বদল আসছে ভারতের ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে

নয়াদিল্লি: ঔপনিবেশিক শাসনে তৈরি হওয়া আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল দণ্ড দেওয়া, ন্যায়প্রতিষ্ঠা নয়। ইংরেজদের তৈরি করা সেইসব আইনের বদল আনা জরুরি। তাই ভারতের ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে আমূল পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ভারতের মাটিতে ইংরেজ শাসনের ভিত্তিকে আরও পাকাপোক্ত করাই লক্ষ্য ছিল আগের আইনের। কিন্তু এখন তার বদলের সময় এসেছে। 

শুক্রবার লোকসভায় তিনটি বিল আনেন অমিত শাহ। জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহিতা সংক্রান্ত আইন সম্পূর্ণ ভাবে বাতিল করা হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে সাজা হিসাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে তিন বছরের জেলের সাজাও দেওয়া হয়। তবে নয়া প্রস্তাবে শুধু তিন বছর জেলের সাজা হতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ১৮৬০ সালের ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’, ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোড’ এবং ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ বদলে হতে চলেছে ভারতীয় ন্যায়সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য। তিনটি বিলই স্ট্যান্ডিং কমিটির বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

কিছু অপরাধের জন্য সাজাও বৃদ্ধি করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যেমন, গণপিটুনির সর্বোচ্চ শাস্তি হতে চলেছে মৃত্যুদণ্ড। সর্বনিম্ন সাজা সাত বছরের কারাবাস। এ ছাড়াও জরিমানাও করা হবে। জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, জন্মস্থান, ভাষা, ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা অন্য কোনও কারণে হত্যার ঘটনার ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা এমন শাস্তি পাবেন। এছাড়া ঘৃণা ভাষণ বা উস্কানিমূলক ভাষণের ক্ষেত্রে তিন বছরের জেলের সাজা হবে। ধর্মীয় সমাবেশে  উস্কানিমূলক ভাষণের সাজা পাঁচ বছর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − five =