নয়াদিল্লি: ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের নারী শক্তি বিকাশের পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোটের প্রচার থেকে সরকারি প্রকল্প, আগাগোড়াই মহিলাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন নমো। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের নিম্নবিত্ত মহিলাদের মন পেতে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদী বলেন, ‘‘আমার স্বপ্ন, দেশের গ্রামে গ্রামে ২ কোটি দিদি লাখপতি হবেন।’’ কিন্তু কী ভাবে? এর জন্য একটি প্রকল্পের পরিকল্পনার কথাও দেশবাসীকে জানান নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্রমীণ অঞ্চলে মহিলাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। পাশাপাশি কৃষিও ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বদল আসবে। মহিলা স্বনির্ভর গৌষ্ঠীকে আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে মহিলাদের আর্থিক উন্নয়নের যে ভাবনা চিন্তা নেওয়া হয়েছে, তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কথাতে।
ইতিমধ্যেই ‘লাখপতি দিদি’ বানানোর কাজে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। তা আরও বাড়ানোর ভাবনা নেওয়া হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি ড্রোন ওড়ানো-সারানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷
লালকেল্লা থেকে মোদী বলেন, ‘‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মহিলারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তাঁদের নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতি ঘটছে। আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে, অসামরিক বিমান চলাচলে ভারতে সর্বাধিক সংখ্যক পাইলট রয়েছে। আজ মহিলা বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান মিশনে নের্তৃত্ব দিচ্ছেন। জি ২০ দেশগুলিও গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়েছে।’ এরপরেই তিনি গ্রামের মহিলাদের কর্মসংস্থান নিয়ে বক্তব্য রাখেন৷ মোদী বলেন, ‘‘ড্রোন চালানো এবং মেরামতির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে মহিলাদেরকে।’’ প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃষি ক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেই প্রকল্পেই মহিলাদের কাজে লাগানো হবে। প্রযুক্তিগত ভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আত্মনির্ভর করে তোলা হবে। আজ মোদী বলেন, ‘‘কোটি কোটি হাত যদি স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ শুরু করে, তাহলে আমরা ঠিক আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। আমরা ১ হাজার বছর গোলামি সহ্য করেছি। আগামী এক হাজার বছরের জন্য ভারতকে সমৃদ্ধ করতে হবে। হারানো সমৃদ্ধি ফিরে পেতে হবে। আমরা যেটা করব, তা আগামী এক হাজার বছরের জন্য দেশের ভাগ্য লিখবে।’’