নয়াদিল্লি: ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ৫টা ৪৪ মিনিট বাজলে শুরু হবে অবতরণ প্রক্রিয়া। চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম যাতে সফল অবতরণ করতে পারে তার জন্য প্রার্থনা করছে দেশবাসী। ইসরো নিজেও এই অবতরণের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী। কিন্তু উৎকণ্ঠা একটা থেকেই যাচ্ছে ল্যান্ডিংয়ের শেষ ১৫ মিনিট নিয়ে। কারণ চন্দ্রযান ২ এই সময়ের মধ্যেই অসফল হয়েছিল। তাই পুরনো ভুল শুধরে নিয়ে সব রকমভাবে সতর্ক থেকে এবার বিক্রমের ল্যান্ডিং করতে বদ্ধপরিকর ইসরো।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের লাইভ টেলিকাস্ট বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে সম্প্রচার করা হবে বলে আগেই জানিয়েছে ইসরো। ল্যান্ডার বিক্রম এই মুহূর্তে চাঁদের মাটি থেকে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় রয়েছে। ধীরে ধীরে তাকে প্রায় ভাসমান অবস্থায় নীচে নামানো হবে। শেষ মুহূর্তে পাখির পালকের মতো সফট ল্যান্ডিং করানো হবে তাকে। এর আগে কোনও দেশ চাঁদের এই দিকে অবতরণ করতে সফল হয়নি। তাই ইতিহাসে নাম তুলতে চায় ভারত। কিন্তু চিন্তা থাকছে ওই শেষ ১৫ মিনিট নিয়ে। আসলে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় রীতিমতো চ্যালেঞ্জের৷ কারণ সেখানে জমি খুবই অমসৃণ। বড় বড় গর্ত, খাদ, সবই আছে। তাই চাঁদের মাটিতে লেজার রশ্মি ফেলে সেন্সরের মাধ্যমে অবতরণের জন্য উপযুক্ত ভূমি খুঁজবে বিক্রম।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে চন্দ্রযান-৩ গবেষণার জন্য নানা তথ্য সংগ্রহ করবে ১৪ দিন ধরে। মূলত দক্ষিণ মেরুতে জল আছে কি না, বা সেই জায়গা মানুষের বসবাসের যোগ্য কি না, তা খতিয়ে দেখবে। এছাড়া চাঁদের মাটিতে কোন ধরনের খনিজ বস্তু আছে, কোন কোন উপাদান দিয়ে চাঁদের মাটি তৈরি, তা খতিয়ে দেখা হবে। চাঁদে জলের খোঁজ পাওয়া মানে প্রাণের অস্তিত্বও থাকতে পারে।