India Partners
নয়াদিল্লি: বিশ্ব মঞ্চে ইতিহাস সৃষ্টি করে বুধবার চাঁদের পৌঁছে গিয়েছে ভারত। চাঁদে সফল ভাবে মহাকাশযান অবতরণ করানো তালিকায় চতুর্থ স্থানে নাম লিখিয়েছে দেশ। আর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতই প্রথম অবতরণ করেছে। আপাতত গোটা দেশ ইসরোর এই কৃতিত্ব নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা। তবে এই সাফল্যে বেশিদিন গাঁ ভাসাতে নারাজ দেশের বিজ্ঞানীরা। কারণ তারা ইতিমধ্যেই ‘চন্দ্রযান ৪’ নিয়ে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন। তবে এবার একা নয়, অন্য এক দেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে এই অভিযান হবে। (India Partners)
সূত্রের খবর, জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা (জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি)-র সঙ্গে ভারতের ইসরো চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। তারাই যৌথ ভাবে ‘চন্দ্রযান-৪’ অভিযানে কাজ করবে। আর এই অভিযানের নাম লুপেক্স বা লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন। জানা গিয়েছে, চাঁদের মেরুকেন্দ্রিক পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করা ছাড়া চাঁদে আদৌ জল আছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তর মূলত খুঁজবে তারা। আসন্ন ২০২৬ সালের মধ্যে এই অভিযান চালু করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তবে এই মুহূর্তে ভারতের চন্দ্রযান ৩ চাঁদ থেকে কী কী তথ্য সংগ্রহ করে তার দিকে তাকিয়ে গোটা পৃথিবী। কারণ চাঁদের যে অংশে ভারত গিয়েছে সেখানে কোনও দেশই যেতে সক্ষম হয়নি।
উল্লেখ্য, হলিউড বা বলিউডের নির্দিষ্ট কিছু সিনেমার বাজেটের থেকেও কম বাজেট ছিল চন্দ্রযান ৩ অভিযানের। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ইসরো সূত্রে খবর, চন্দ্রযান-৩ অভিযানে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার মোট খরচ হয়েছে ৬১৫ কোটি টাকা। চন্দ্রযান-১ এবং চন্দ্রযান-২ খুব ব্যয়বহুল না হলেও তাদের বাজেট এর থেকে কিছুটা বেশিই ছিল।