Vikram Camera
বেঙ্গালুরু: অনেক লড়াই, অনেক পরিশ্রমের পর চাঁদের বুকে স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম খোদাই করেছে ভারত৷ পূরণ হয়েছে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন৷ চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম৷ এর পর তার পেট থেকে ‘ভূমিষ্ঠ’ হয় রোভার প্রজ্ঞান৷ সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা৷ চাঁদের এবড়ো খেবড়ো পৃষ্ঠের ছবি তুলে পাঠাতে শুরু করেছে বিক্রম-এর ক্যামেরা৷ প্রজ্ঞান চাঁদের পিঠে হামা দিয়ে যে সব তথ্য সংগ্রহ করছে, তা পাঠিয়ে দিচ্ছে বিক্রমের কাছে৷ সেখান থেকে সেই সব তথ্য পৌঁছে যাচ্ছে পৃথিবীতে৷ এবার চন্দ্রপৃষ্ঠের ভিডিয়ো তুলে পাঠাল চন্দ্রযান৷ সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, পরিকল্পনা মতোই কাজ করছে চন্দ্রযান ৩৷ (Vikram Camera)
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ২ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের নতুন একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে ইসরোর তরফে বলা হয়েছে, ল্যান্ডার বিক্রমের ইমেজার ক্যামেরা ভিডিয়োটি তুলেছে। বুধবার ল্যান্ডার অবতরণ করে৷ বৃহস্পতিবার থেকেই চালু হয়ে যায় পে-লোড ILSA, RAMBHA এবং ChaSTE। এরা ক্যামেরার কাজ করছে। যথাযথ কাজ শুরু করে দিয়েছে রোভার প্রজ্ঞানও। চন্দ্রযান ৩-এর সমস্ত কার্যপদ্ধতি একেবারে ছক মেনে এগচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করছে সমস্ত যন্ত্রাংশ।
টুইট করে ইসরোর তরফে আরও জানানো হয়েছে, রবিবার থেকে চালু হয়ে যাবে প্রোপালশন মডিউল৷ তারপর কাজ শুরু করে দেবে। প্রকাশিত ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, চাঁদের কুমেরুর সান্দ্র অংশ। ইমেজার ক্যামেরায় কখনও তার রং ধরা পড়েছে কাদাজলের মতো, কখনও আবার নীলচে সবুজ। মাঝেমধ্যে আবার দেখা গিয়েছে বুদবুদ৷ আবার কখনও ধরে পড়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের গহ্বর৷ বিজ্ঞানীদের অনুমান, চাঁদের অনাবিষ্কৃত এই দিকটিতে তরল রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ৷ সে সবের হদিশ পেতেই বেছে নেওয়া হয়েছিল চাঁদের কুমেরু৷ তথ্য অনুসন্ধানে পাঠানো হয়েছে চন্দ্রযান ৩৷