sc
নয়াদিল্লি: কোনও ব্যক্তির মৃত্যুকালীন জবানবন্দি কি দোষ প্রমাণের একমাত্র ভিত্তি হতে পারে? এই প্রশ্ন উঠলে তার উত্তর দেওয়া কিছু মুশকিল। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালত এই নিয়ে যে পর্যবেক্ষণ করেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, মৃত্যুকালীন জবানবন্দিই কারোর দোষ প্রমাণে একমাত্র ভিত্তি হতে পারে না। উত্তরপ্রদেশের এক খুনের মামলায় এমনটাই জানাল আদালত। (sc)
২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশের এক খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হন ইরফান নামক এক ব্যক্তি। সেই ঘটনায় মৃত্যুকালীন জবানবন্দির ওপর নির্ভর করে ইরফানকে কারাদণ্ড দেয় আদালত। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে এই জবানবন্দির সত্যতা এবং তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ আদালত। ২০১৪ সালের ওই ঘটনার নির্দেশ ২০১৮ সালে এলাহাবাদ আদালতও বহাল রেখেছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত তা খারিজ করে ইরফানকে মুক্তির নির্দেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যিনি জবানবন্দি দিয়েছিলেন তার দেহের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এই অবস্থায় তিনি কী করে জবানবন্দি দিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। এছাড়াও আদালত একাধিক প্রশ্ন তোলে এই ইস্যুতে। যেমন জবানবন্দি দেওয়ার আগে ব্যক্তি মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলেন কিনা, মৃত্যুকালে ব্যক্তির জবানবন্দিটি সঠিকভাবে রেকর্ড করা হয়েছিল কিনা। এছাড়া জবানবন্দিটি দেওয়ার জন্য তাঁকে কোনও চাপ দেওয়া হয়েছিল কিনা। আদালত বলছে, সাধারণ মৃত্যুর সময় কেউ মিথ্যে কথা বলে না। তবুও বিষয়টি যাচাই করে দেওয়া দরকার যেখানে অন্য এক ব্যক্তির জীবনের ব্যাপার।