নয়াদিল্লি: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে হৃদ্যতার সম্পর্ক ৷ আবার আমেরিকারও কাছের মিত্র ভারত৷ এমতাবস্থায় আমেরিকাকে ভারতের হুঁশিয়ারি, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে বেশি চাপ দেওয়া হলে, তারা চিনের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠতে পারে। আর তাতে আখিরে মদত পাবে কট্টরপন্থীরা৷ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে বলেও মনে করছে ভারত। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে মাস কয়েক আগে আওয়ামি লিগ সরকারকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছিল আমেরিকা।
এদিকে, আমেরিকার মনোভাব বুঝতে পেরেই সেদেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই মাঝে জানা গেল, আমেরিকা ইস্যুতে মধ্যস্থতার জন্য ভারতের দ্বারস্থ হয়েছিল ঢাকা। এই আবহে আমেরিকার উদ্দেশে ভারতের স্পষ্ট বার্তা, নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিলে আখিরে ক্ষতি তাদেরই। এতে চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে পারে বাংলাদেশের৷ যদিও ভারতও যে অবাধ নির্বাচনের পক্ষে, সে কথাও স্পষ্ট করা হয়েছে৷
এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল বাংলাদেশে। যদিও ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকার সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। তবে সম্প্রতি আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অসম্মান করা ব্যক্তিদের মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের কিছু কর্তাদের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল আমেরিকা।