নয়াদিল্লি: নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে আরও একবার অরুণাচলপ্রদেশকে নিজেদের বলে দাবি জানাল চিন৷ অরুণাচলের পাশাপাশি নতুন মানচিত্রে আকসাই চিনকেও নিজেদের বলে দাবি করেছে ড্রাগনের দেশ। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক মাথাচারা দিয়েছে৷ মোক্ষম জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লিও৷ এরই মধ্যে উঠে এল আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ জানা গেল, আকসাই চিনে ঢোকার ষড়যন্ত্র কষছে লাল ফৌজ৷ এলাকায় ইতিমধ্যেই সুরঙ্গ ও খাদ তৈরি করে ফেলেছে তারা৷ ম্যাক্সারের নয়া উপগ্রহ চিত্র দেখে এমনটাই দাবি নয়াদিল্লির।
স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গিয়েছে, কীভাবে আকসাই চিন উপত্যকায় সুড়ঙ্গ ও খাদ তৈরি করে ফেলেছে চিনা বাহিনী। নতুন সেনা ছাউনি ও সীমান্তে অস্ত্র ভাণ্ডার গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই সুড়ঙ্গ বলে দাবি করা হয়েছে।
উত্তর লাদাখের দেপসাং উপত্যকা থেকে ৬০ কিলোমিটার পূর্বে আকসাই চিনে নদীর পাড় বরাবর চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এই সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ করছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, নদীর দুই পাড়েই পাথর কেটে কমপক্ষে ১১টি সুড়ঙ্গ বা খাত তৈরি করেছে চিন৷ বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে এই নির্মাণকাজ চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই অঞ্চলে বরাবরই চিনা তৎপরতা চোখে পড়েছে৷ অন্যদিকে, আগাগোড়াই এই এলাকাকে ‘বিতর্কিত ভূখণ্ড’ বলে দাবি করে এসেছে নয়াদিল্লি। মানচিত্রে ভারতের উত্তর ও পূর্বে চিন অধিকৃত তিব্বতের সঙ্গে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ভারত বরাবরই দাবি করে এসেছে, সীমান্তবর্তী এলাকার একটা বড় অংশ অবৈধভাবে নিজেদের দখলে রেখেছে চিন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতীয় সেনার এয়ারস্ট্রাইক ও কামানের গোলা থেকে নিজেদের সৈন্য ও অস্ত্রভাণ্ডারকে সুরক্ষিত করতেই এইসব সুড়ঙ্গ খনন করেছে চিন। মনে করা হচ্ছে, ওই সুড়ঙ্গগুলিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুত করে রাখার পরিকল্পনা করছে লাল ফৌজ৷
উপগ্রহ চিত্র বিশেষজ্ঞ ডেমিয়েন সাইমনের কথায়, ‘‘আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে ভারতীয় বাহিনীকে প্রতিহত করতে চাইছে চিন। আকসাই চিনে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারবেস রয়েছে৷ এর ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী বিশেষ সুবিধাও পায়৷ সেই সব সুবিধা রুখতেই চিনের এই পদক্ষেপ।’’