নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ নম্বর ধারা তুলে নেওয়ার পর ভূস্বর্গ রাজ্যের তকমাও হারায়। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, এই দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে। তবে কবে ফিরবে কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা, তা এখনও কেউ জানে না। সেটা জানাতেও পারল না কেন্দ্রীয় সরকার। আদতে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের তকমা আবার ফেরত পাবে কিনা, তা কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। এখনও তা স্পষ্ট করতে পারেনি কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, কাশ্মীরে যে কোনও সময় নির্বাচন করাতে তারা রাজি। কিন্তু কতদিনে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবে, সেটা এই মুহূর্তে তারা বলতে পারছেন না। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবেই জানতে চেয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়ে কবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা জানাতে হবে। নিজেদের অবস্থান জানানোর জন্য মোদী সরকারকে ডিভিশন বেঞ্চ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র আপাতত নিরুত্তর। আসলে আদালতে কেন্দ্র আগেই জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত তা হল ‘অস্থায়ী ব্যবস্থা’। সেই প্রেক্ষিতেই এর স্থায়ী সমাধান নিয়ে তৎপরতা দেখিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, এই ইস্যুতে পরপর যে মামলাগুলি করা হয়েছিল গত ২ জুলাই থেকে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে সেগুলির ধারাবাহিক শুনানি শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত।