কলকাতা: আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে জি২০-র রাষ্ট্রগোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলন৷ সেই সম্মেলনে যোগ দেবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সে কথা আগেই জানা গিয়েছে। এবার জি২০ সম্মেলনে আসা অনিশ্চিত বলে জানালেন চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে চিনের তরফে কিছু জানানো হয়নি৷ তবে চিনের এক ভারতীয় কূটনীতিবিদের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, দিল্লিতে আসছেন না শি জিনপিং৷ বদলে চিনের প্রিমিয়র লি কিয়াং-ই সম্ভবত প্রতিনিধিত্ব করবেন জি ২০ শীর্ষ বৈঠকে।
একদিকে পুতিন, অন্যদিকে শি জিনপিং, দুই হেভিওয়েট রাষ্ট্রনায়কের অনুপস্থিতিতে অনেকটাই ভার কমবে জি ২০ সম্মেলনের৷ তবে আগামী মাসে দিল্লিতে আওজিত জি২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ কূটনৈতিক মহলের অনুমান ছিল, সম্ভবত দিল্লিতে মুখোমুখি হবেন শি জিনপিং ও বাইডেন৷ এক মঞ্চে দেখা যাবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই রাষ্ট্রনেতাকে৷ কিন্তু সম্ভাবনা আর থাকল না বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও প্রথমে ঠিক ছিল জিনপিং আসছেন। তাঁর থাকার বন্দোবস্ত হয়েছিল নয়াদিল্লির ‘তাজ প্যালেস’৷ সেখানে এলাহি খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্তও করা হয়েছিল। তবে পরিকল্পনাই সার৷ দিল্লিতে আসছেন না শি জিনপিং৷ তবে তাঁর না আসার কারণটা এখনও জানা যায়নি। অনেকের অনুমান, গত সপ্তাহের ব্রিকস সামিটে চিন ও ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে যে কথাবার্তা হয়েছে, তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত৷ প্রধানমন্ত্রী মোদী চিনা প্রেসিডেন্টকে সাফ জানান, লাদাখে শান্তি ফেরাতে দুই দেশকেই তৎপর হতে হবে। পরিস্থিতি শান্ত করতে চিনের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করান তিনি৷
এর পরে গত বুধবার নয়া মানচিত্র প্রকাশ করে অরুণাচলকে ‘নিজেদের’ বলে দাবি জানায় চিন। ভুলে ভরা এই মানচিত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বেজিংয়ের আচরণের নিন্দা করে বলেন, “বিকৃত মানচিত্র প্রকাশ করা চিনের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ভুলভাল দাবি করলেই সেটা সত্যি হয়ে যায় না। অরুণাচল ভারতেরই থাকবে।”
এই পরিস্থিতিতে এ কথা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, যে গালওয়ান পরবর্তী সময়ে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এই অবস্থায় জি ২০ সম্মেলেন শি জিনপিংয়ের উপস্থিতি আলাদা মাত্রা নেওয়ার কথা ছিল, যা আর সম্ভব হবে না বলেই মনে হচ্ছে।