কলকাতা: চূড়ান্ত অচলাবস্থা৷ একদিকে শীতের কামড়, মাথার উপর শিশির, অন্যদিকে লাগামছাড়া মশার দাপট৷ একাধিক প্রতিকূলতাকে জয় করে টানা এক ১৫ দিন ধরে নিজেদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷ এই নিয়ে ১১ দিনে পড়ল শিক্ষকদের অনশন৷ কিন্তু অনশনে জুটল না একটি অ্যাম্বুলেন্স, পানীয় জল৷ ইতিমধ্যেই টানা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক৷ একজন শিক্ষিকারও মৃত্যু হয়েছে৷ কিন্তু, তারপও হেলদোল নেই রাজ্যের৷ মৃত্যু, অসুস্থতা, ধর্না, অনশনের পরও ফের পার্শ্ব শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
বলেন, ‘‘ওরা জীবনটা শুরু করেছিল ১ হাজার টাকা দিয়ে৷ আমরা তো এসে ওঁদের ৩ হাজার টাকা বেতন বাড়িয়ে দিয়েছি৷ প্রত্যেকে এখন মনে পড়ছে, আমি রাস্তায় বসে যাব৷ আমি অনশন করব৷ আমি ধর্না দেব৷ সেটা কী ঠিক? যদি সরকারের ইচ্ছা না থাকতো তাহলে ২০১১ সালে এসে বলতো, এগুলি আমরা মানি না৷ অনেকে আবার ওদের মঞ্চে এসে বড়বড় কথা বলছে৷ নাটকীয় কায়দায় অনেকেই কথা বলছে৷ আমি তো তাদের বলছি, কেন্দ্র সরকারের থেকে ওই টাকাটা নিয়ে আসলেই তো হয়ে যায়৷ কেন্দ্রীয় সরকার সর্বশিক্ষা অভিযানের যে টাকা দেয়, সেই টাকায় আমরা পাইনা আমাদের ছয় হাজার কোটি এখনও দেওয়া হয়নি৷ টাকাগুলি আসবে কোথা থেকে? আমকা তো লোকগুলিকে তাড়িয়ে দিতে পারব না৷’’
দিল্লি থেকে টাকা আনার দায়িত্ব শিক্ষামন্ত্রীর৷ না পারলে পদত্যাগ করুন৷ হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারী শিক্ষকদের৷ এই বিষয়ে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ জানিয়েছেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী জন্য পথ খোলা আছে৷ সরকার আমাদের পক্ষে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটা আমরা জানি৷ কেন্দ্র থেকে টাকা নেতা-মন্ত্রীরা আনতে পারবেন না৷ আমরাও আনতে পারব না৷ তাহলে এই টাকা নিয়ে আসার দায়িত্ব কাদের? যদি শিক্ষা মন্ত্রী নিজে টাকা না আনতে পারেন তাহলে তিনি কেন চেয়ারে বসে আছেন৷ টাকা না আনতে পারলে পদত্যাগ করুন৷’’