isro
নয়াদিল্লি: সবকিছু আগের থেকেই ঠিক ছিল। সেই মতোই শনিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা সতীশ ধাওয়ন স্পেস রিসার্চ সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে সূর্যের উদ্দেশে রওনা দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মহাকাশযান আদিত্য এল-১। ভারতীয় রকেট ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ (পিএসএলভি)-এর কাঁধে ভর করে সফল উৎক্ষেপণ হয় তার। বিভিন্ন জায়গা থেকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে এর উৎক্ষেপণ দেখানো হয়েছে ইসরোর তরফ থেকে। চন্দ্রযান ৩-র সাফল্যের ১০ দিনের মধ্যেই সৌর অভিযান শুরু করল ইসরো।
জানা গিয়েছে, পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্যের শেষ অক্ষে যাবে আদিত্য এল-১। লক্ষে পৌঁছতে তার সময় লাগবে প্রায় ১২৫ দিন। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আদিত্য এল-১ প্রতিদিন ১ হাজার ৪৪০টি করে সূর্যের ছবি পাঠাবে। ১৯০ কেজির ভিইএলসি পেলোড আগামী পাঁচ বছর ধরে ছবি পাঠাবে। এছাড়া ভিইএলসি যে সাতটি পেলোড থাকবে, তার মধ্যে চারটি সূর্যের আলো পর্যবেক্ষণ করবে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সূর্যের শেষ কক্ষপথে পৌঁছবে আদিত্য এল-১। তারপর আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে সূর্যের প্রথম ছবি পাওয়ার জন্য।
ইসরো সূত্রে খবর, উৎক্ষেপণের পর প্রায় ১৬ দিন পৃথিবীর চারিদিকে পাক খাবে আদিত্য-এল১। এই ১৬ দিনে সূর্যের দিকে পাড়ি দেওয়ার জন্য পাঁচটি ধাপে গতিবেগ বাড়াবে আদিত্য। এও জানানো হয়েছে, মহাকাশযানটিকে সূর্য-পৃথিবীর মধ্যে একটি ‘হ্যালো’ কক্ষপথের ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট বা এল-১ পয়েন্টে স্থাপন করা হবে। প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ কিলোমিটার ভ্রমণ করে গন্তব্যে পৌঁছবে মহাকাশযানটি। প্রসঙ্গত, সূর্যের অপর নাম আদিত্য। তাই এই নামকরণ করা হয়েছে মহাকাশযানটির।