কলকাতা: শিক্ষামন্ত্রী কথা না রাখলে রাজ্যের গ্র্যা়জুয়েট টিচারদের আন্দোলন আরও বৃহত্তর আন্দোলনের রুপরেখা তৈরি করেই রেখেছে বিজিটিএ৷ তবে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আস্থা রাখছেন৷ বুধবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই জানিয়েছেন বৃহত্তর গ্র্যাওজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশানের সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল৷ এদিন তাঁদের বঞ্চনার কথা আরও একবার লিখিত ভাবে শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছেন তাঁরা৷
২০১৬ সাল থেকে গ্র্যারজুয়েট টিচারদের বেতন বৈষম্য নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বৃহত্তর গ্র্যা্জুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান বা বিজিটিএ৷ এতদিন পর যখন ষষ্ঠ পেকমিশন ঘোষণা করা হয় তখনও সেই বৈষম্য থেকেই গেছে৷ সংগঠনের দাবি পশ্চিমবঙ্গের প্রায় এক লক্ষ গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক তিন দশক ধরে বঞ্চনার শিকার৷ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলশিক্ষকদের কোনও বেতন বৈষম্য না থাকলেও গ্র্যাজুয়েট স্কুলশিক্ষকদের গ্রেড পে-র ক্ষেত্রে সেই বৈষম্য থেকেই গেছে৷
সংগঠনের আরও অভিযোগ, সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তিন বার ‘ক্যাশ বেনিফিট’ পান৷ কিন্তু সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বা সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই ‘ক্যাশ বেনিফিট’ পান না৷ মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এবিষয়ে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি৷ এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সংগঠন৷ সেখানেও একাধিক জয় পেয়েও সমস্যা মেটেনি৷
বৃহত্তর গ্র্যাযজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশানের সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল ও হাওড়া জেলা বিজিটিএর সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী আমাদের বঞ্চনা সম্পর্কে আগে থেকেই ওয়াকিবহাল ছিলেন৷ আজ ফের তাঁর সঙ্গে দেখা করলাম৷ তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, আমাদের বঞ্চনার কথা লিখিত ভাবে আর একবার তাঁর হাতে তুলে দিয়েতে৷ এখন দেখার তিনি পশ্চিমবঙ্গের লক্ষাধিক গ্র্যারজুয়েট টিচারদের জন্য তাঁর দেওয়া আশ্বাস কার্যকরী করেন কি না৷’’ সমস্যা না মিটলে বিজিটিএ ফের আন্দোলনে নামবে বলেও দেওয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি৷