স্কুল শিক্ষকদের জন্য সুখবর, শিক্ষা দপ্তরের আগাম ‘সিদ্ধান্তে’র ঘোষণা!

কলকাতা: জোড়া বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও স্কুলশিক্ষকদের স্টাফ প্যাটার্ন সংক্রান্ত ধোঁয়াশা কাটানো যায়নি৷ এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল শিক্ষক মহলে৷ শিক্ষক মহলে তৈরি হওয়া সেই ক্ষোভে জল ঢেলে আগাম সুখবর ঘোষণা করে দিলেন শাসকদলের শিক্ষক নেতা৷ শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি না হলেও স্টাফ প্যাটার্নের নির্দেশ আপাতত ‘স্থগিত’ রাখার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ

e8598e848a820d8bd27452be642d7d71

স্কুল শিক্ষকদের জন্য সুখবর, শিক্ষা দপ্তরের আগাম ‘সিদ্ধান্তে’র ঘোষণা!

কলকাতা: জোড়া বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও স্কুলশিক্ষকদের স্টাফ প্যাটার্ন সংক্রান্ত ধোঁয়াশা কাটানো যায়নি৷ এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল শিক্ষক মহলে৷ শিক্ষক মহলে তৈরি হওয়া সেই ক্ষোভে জল ঢেলে আগাম সুখবর ঘোষণা করে দিলেন শাসকদলের শিক্ষক নেতা৷

শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি না হলেও স্টাফ প্যাটার্নের নির্দেশ আপাতত ‘স্থগিত’ রাখার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র৷ আজ সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে অশোকবাবুর ফেসবুক ওয়ালে দেখা গিয়েছে একটি পোস্ট৷ সেখানে অশোক রুদ্রর নামে ‘শিক্ষক/শিক্ষিকাদের জন্য সুখবর’ শীর্ষক একটি পোস্টে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘‘শিক্ষা দপ্তরের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আপাতত স্টপ প্যাটার্ন কার্যকর করা হচ্ছে না – আপার প্রাইমারি, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে৷’’

তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের শীর্ষ শিক্ষক নেতার নামে প্রচারিত ওই ফেসবুক পোস্ট ইতিমধ্যেই ভাইরাল৷ বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার হওয়ার আগে শিক্ষা দপ্তরের ‘সিদ্ধান্ত’ সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ ঘিরে শুরু হয়েছে শিক্ষক মহলে জোর চর্চা৷

ফোসবুকে ঘোষণা প্রসঙ্গে অশোক রুদ্র জানিয়েছেন, ‘‘ফেসবুকে আমি যতটা বলেছি, ওইটুকুই আমার বক্তব্য৷ এর বাইরে আমি আর কিছু বলবো না৷ যে স্টাফ প্যাটার্ন ছিল, সেটা আপাতত স্থগিত৷ বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছিল৷ শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমি শিক্ষকদের সমস্যা তুলে ধরেছিলাম৷ তার পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷’’

এই বিষয়ে শিক্ষা দপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করবে? জবাবে শাসকদলের শিক্ষক নেতা অশোক রুদ্রর মন্তব্য, ‘‘আমি আর কিছু বলব না৷ আরে ভাই, আপনি যদি সাংবাদিক হন তাহলে, আপনার জানা উচিৎ বিজ্ঞপ্তিত জারি হবেই৷ আশ্চর্য কথা৷’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘আমি আমার শিক্ষক সমাজকে, সংগঠনে যারা আছেন, অনেক শিক্ষক মহাশয় তো আছেন, তাঁদের জানানোর জন্য এটা আমি এটা বললাম৷ অনেকে এই নিয়ে ভুল, মিথ্যা প্রচার করেন৷ তাই জন্য জানালাম৷ এবার যেটা করার সরকার সেটা করবে৷ যেভাবে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সেভাবেই বিজ্ঞপ্তি দেবে নিশ্চয়ই৷’’

স্কুল শিক্ষকদের জন্য সুখবর, শিক্ষা দপ্তরের আগাম ‘সিদ্ধান্তে’র ঘোষণা!

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যম মাধ্যমে শিক্ষা দপ্তরের আগাম সিদ্ধান্ত এভাবে কি প্রচার করা যায়? তাও আবার ‘শিক্ষা দপ্তরের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনার সিদ্ধান্ত’! স্টাফ প্যাটার্ন ‘স্থগিত’ রাখার সিদ্ধান্ত যদি নেওয়া হয়, তাহলে কেন সরকারিভাবে কেনও বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হল না? আর বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগে শিক্ষা দপ্তরের নাম করে কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট? প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ শিক্ষকদের একাংশের দাবি, ‘আপাতত’ শব্দের মধ্য দিয়ে বিষয়টির সম্পূর্ণ সমাধান হচ্ছে, তা স্পষ্ট না! যদি সত্যি হয় তাহলে, যেসব স্কুল ইতিমধ্যেই স্টাফ প্যাটার্ন অনলাইনে দাখিল করে দিয়েছে, সেগুলি বাতিল বলে ঘোষণা করতে হবে শিক্ষা দপ্তরকে৷ শিক্ষাদপ্তর থেকে সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি না হলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে না বলেও মত শিক্ষা মহলের একাংশের৷

কেননা, স্টাফ পাঠানের বিভ্রান্তি নিয়ে একাধিক সংগঠন বহুবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন৷ তাঁদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নিজে৷ শিক্ষকদের বিভ্রান্তি কাটাতে দু’টি বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও কাটেনি ধোঁয়াশা৷ তবে, এবার সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে শিক্ষা দপ্তরের আগাম ‘সিদ্ধান্ত’কে স্বাগত জানানো হলেও প্রশ্ন তুলতে ছাড়ছেন না শিক্ষকদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *