g20
নয়াদিল্লি: রাত পোহালেই রাজধানীতে শুরু হবে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে বসবে জি২০-র আসর। আজ থেকেই ভারতে আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা৷ জো বাইডেন, ঋষি সুনক, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মতো তাবড় তাবড় বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে বাড়তে শুরু করেছে রাজধানীর রৌনক। তাঁদের আপ্যায়নেও কোনও খামতি রাখেনি মোদী সরকার৷ থাকাখাওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছে এলাহি৷
জি২০ সম্মেলন উপলক্ষে সেজে উঠেছে গোটা দিল্লি৷ বিভিন্ন দেশের প্রধান এবং তাঁদের প্রতিনিধিদল যে বিলাসবহুল হোটেলগুলিতে থাকবেন, সাজিয়ে তোলা হয়েছে সেই হোটেলগুলিকেও। সেই সঙ্গে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় হোটেলগুলি ঘিরে ফেলেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।
জানা গিয়েছে, যে ১১টি রাজকীয় হোটেলগুলিতে বিদেশি রাষ্ট্রনেতারা থাকবেন, সেখানে এক বিশেষ উপায়ে খাবার পরিবেশন করা হবে৷ সেখানে থাকবে ভারতীয় ঐতিহ্য এবং গৌরবময় সংস্কৃতির ছোঁয়া৷ রাষ্ট্রনেতা ও বিদেশি প্রতিনিধিদের খাবার পরিবেশন করা হবে রুপো এবং সোনায় মোড়ানো ধাতবপাত্রে। এই পাত্রগুলিতে ভারতের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ঝলক থাকবে৷ প্রস্তুতকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই দিল্লি ও গুরগাঁও-এর ১১টি হোটেলে বহুমূল্য সেই পাত্রগুলি পাঠিয়ে দিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই সংস্থার মালিক রাজীব এবং তাঁর ছেলে জানান, তাঁর তিন প্রজন্ম ধরে তাঁরা এই ধরনের পাত্র প্রস্তুত করছেন। বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে ভারতীয় ঐতিহ্যের পরিচয় করানোই তাঁদের মূল লক্ষ্য৷ তিনি জানিয়েছেন, সোনা এবং রুপোর পাত্রগুলিতে রয়েছে জয়পুর, উদয়পুর, বারাণসী, কর্ণাটক-সহ বিভিন্ন রাজ্যের শিল্পের নিদর্শন৷ যা ভারতের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। অনেক পাত্রে আবার দেশের জাতীয় পাখি ময়ূরের নকশাও রয়েছে।
বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য যে পাত্রগুলি বিভিন্ন হোটেলে পাঠানো হয়েছে, তার থিম ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’। রাজীব জানান, এই বাসনগুলির নকশা প্রতিটি হোটেলের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। ‘মহারাজা থালি’র জন্য আলাদা লবণ এবং মরিচের রুপোর পাত্রও তৈরি করে পাঠানো হয়েছে৷
রাষ্ট্রনেতাদের খানাপিনাতেও থাকছে এলাহি আয়োজন৷ কে কোন ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করেন, তা মাথায় রেখেই তৈরি করা হবে বিভিন্ন পদ। সেই সব পদ সাজিয়ে গুজিয়ে পরিবেশন করা হবে ওই সব সোনা-রুপোর পাত্রেই।