নয়াদিল্লি: দেশের কয়েক কোটি চাকরিজীবীর সুখবর দিয়ে বাড়তে পারে আয়কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা৷ আগামী বছর বাজেটে ইক্যুইটি বিনিয়োগ থেকে দীর্ঘমেয়াদী মূলধন থেকে মুনাফার উপর কর কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে৷
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, বেসরকারি বিনিয়োগ ও অভ্যন্তরীণ উত্পাদনবাড়াতে আমদানি শুল্কে বেশ কিছু ছাড় দিতে পারে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক৷ বাজেটে আয়কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা কাটছাঁট করা হতে পারে বলেও খবর৷ আয়কর ছাড় বাড়ালে জনতার সমর্থন পাওয়া যাবে কি না, তা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর৷
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আয়কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা না বাড়লেও তা অপরিবর্তিত কিংবা কমতে নাও পারে কেন্দ্র৷ গতবছর লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদি সরকারের সপ্তম বাজেও আয়কর ছাড় অপরিবর্তিত রাখা হয়৷
মূলত, আয়কর ছাড় দিলে সরকারের উপর চাপ বাড়বে৷ কেননা, যে হারে দেশের শিল্প উৎপাদন মার খাচ্ছে, তাতে অর্থনৈতির হাল ধরতে ছাড়ের উপর গুরুত্ব বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র৷ মন্দা কাটাতে ইতিমধ্যেই মোদি সরকার কর্পোরেট করের হার নতুন উদ্যোগপতিদের জন্য ১৫ শতাংশ কমিয়েছে৷
উদ্যোগপতিদের উৎসাহ দিতে বাণিজ্য করের হার ৩০ থেকে ২২ শতাংশ কমিয়েছে কেন্দ্র৷ কিন্তু, তাতেও মন্দা কমানো যায়নি৷ আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি মোদি সরকারের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষের জন্য দ্বিতীয় বারের জন্য পূর্ণাবঙ্গ বাজেট পেশ করবেন৷ সেখানে দেশীয় উত্পাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু পণ্যে আমদানি শুল্ক পরিবর্তন করতে পারে৷ এর আগে ৫ জুলাই প্রথম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা৷