বেতন বঞ্চনা ঘোচাতে ফের যুদ্ধ ঘোষণা কলেজ অস্থায়ী কর্মীদের!

স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের সরকারি নতুন নিয়ম অনুসারে সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হলেও বঞ্চিত কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা৷

কলকাতা: সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ সার্ভিস কমিশন৷ নির্দেশিকা অনুসারে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ কলেজ টিচার হিসেবে নিযুক্ত সমস্ত পার্ট টাইম টিচার, কন্ট্রাকচুয়াল হোল টাইম টিচার এবং গেস্ট টিচারদের  ‘স্টেট এডেড কলেজ টিচার’-এর মান্যতা দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি নতুন নিয়ম অনুসারে সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়৷ এরই প্রেক্ষিতে তাদের বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হল কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা৷

তাদের মতে, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের প্রত্যেককে ‘স্টেট এডেড কলেজ টিচার’-এর মান্যতা দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি নতুন নিয়ম অনুসারে সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া নিরাপত্তা, স্বীকৃতি ও বেতনক্রম দেওয়া হলেও এসবকিছু থেকেই বঞ্চিত কলেজের অস্থায়ী কর্মচারীরা৷ এই অভিযোগে এবার সরকারি স্বীকৃতি-সহ, সুনির্দিষ্ট বেতন পরিকাঠামো ও ৬০ বছর পর্যন্ত কাজের নিরাপত্তার দাবিতে এবার বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা৷

কলেজ পরিচালন সমিতির অনুমোদন ও অনুমতিক্রমে নিযুক্ত এই কর্মচারীরা৷ এক্ষেত্রে তাদের অভিযোগ, কলেজের পরিচালন সমিতি পেপারে কোনো বিঞ্জপ্তি না দিয়ে, কোন ইন্টারভিউ ছাড়াই, ক্লাস পিছু টাকার পরিবর্তে কলেজের মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়োগ করেছে, ইতিমধ্যেই সরকার তাদের স্বীকৃতিও দিয়েছে এমনকি তাদের বেতন পরিকাঠামো নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে৷

সংগঠনের দাবি কলেজের ক্লাস নেওয়া ছাড়া কলেজের অফিস সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্ম করতে এই সমস্ত কর্মচারীদের৷  কলেজের গেট খোলা থেকে ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখা, কলেজ গেটে নজরদারী, প্রেজেন্ট খাতায় নাম তোলা, ফর্ম ফিলাপ, রেজিষ্ট্রেশান, স্কলারশিপ, ডিপার্টমেন্টের ল্যাব এটেনডেন্ট, ক্লাস শেষে ঘন্টা দেওয়া,পরীক্ষা চালানো,মাইগ্রেশান, পাশ করে যাওয়া স্টুডেন্টস দের পাশ সার্টিফিকেট, নিয়মিত ছাত্রছাত্রীদের অ্যাডমিট, মার্কশিট দেওয়ার মত সমস্ত কাজ করতে হয় এই কর্মচারীদের৷ ক্ষেত্রবিশেষে অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং ক্যাশিয়ারের কাজেও যুক্ত করা হয় এই কর্মচারীদের৷

১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত কাজ করে আসছেন এমন কর্মীদের ক্ষেত্রেও কলেজ কর্তৃপক্ষ বা সরকার কোনো সদর্থক চিন্তাভাবনা করছেনা ৷ বাম আমল থেকে তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হলেও আজও তারা বঞ্চিত৷ ২০১৭ সাল থেকে  সম্মিলিত ভাবে তাদের ন্যায্য দাবী বারবার জানিয়েও কোনও ইতিবাচক উত্তর মেলেনি উচ্চ শিক্ষাদপ্তর তরফে৷ এবার তাদের দাবি না মানা হলে কর্মবিরতির পাশাপাশি বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *