নয়াদিল্লি: আরও এক দফায় কমতে পারে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফের বার্ষিক সুদের হার৷ ফেব্রুয়ারি মাসে ইপিএফ সুদের হার নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে৷ কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন বা ইপিএফও অছি পরিষদের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে দেশের সাড়ে ছ’কোটি চাকরিজীবী৷
এই মুহূর্তে ইপিএফে বার্ষিক ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়৷ শেষমেশ কেন্দ্র যদি ইপিএফের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ কমায়, তাহলে মন্দার বাজারে বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে দেশের সাধারণ মধ্যবিত্ত সমাজ৷ জানা গিয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০১৬ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ইপিএফের বার্ষিক সুদের হার বাড়েনি৷ প্রতিবার সুদ কমেছে৷ ২০১৫-২০১৬ অর্থবর্ষে ইপিএফে সুদের হার ছিল বছরে ৮.৮ শতাংশ৷ তা নামে ৮.৬৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে৷ ২০১৭-২০১৮ অর্থবর্ষে সুদ কমে দাঁড়ায় ৮.৬৫ শতাংশ৷ লোকসভা ভোটের আগে সুদ বাড়ে হয় ৮.৬৫ শতাংশে৷ এখন ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ পাচ্ছেন ইপিএফ গ্রাহকেরা৷
জানা গিয়েছে, বর্তমানে ইপিএফে ৮.৬৫ শতাংশ হারে বার্ষিক সুদ দিতে কেন্দ্রের বছরে খরচ হচ্ছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা৷ কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে ২০ জনের বেশি কর্মী থাকলে ইপিএফওর আওতায় পড়ে৷ মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা বেতন পেলে ইপিএফের মতো সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা পান ওই কর্মী৷ ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ এক হাজার টাকা৷ শোনা যাচ্ছে, সুদ কমানোর পাশাপাশি পেনশন ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক৷