নয়াদিল্লি: দেশের আর্থিক ভগ্নদশার উন্নতি ঘটাতে মোদি সরকারের মূল লক্ষ্য বেসরকারিকরণ৷ অগত্যা সরকারি চাকরির মায়া ত্যাগ করে এখন বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে বেকার যুবক যুবতীরা৷ আর আশানুরূপভাবে তাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এবছর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে চলেছে বেসরকারি সংস্থাগুলি৷ কর্মক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলিতে অন্তত ৭লক্ষ কর্মী নিয়োগের সম্ভবনা দেখছে মাইহায়ারিংক্লাব.কম এবং সরকারিনওকরি.ইনফো ট্রেন্ড সার্ভে (এমএসইটিএস)৷
এবছর বড় মাপের বিনিয়োগকারীরাই বেশি সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে, এমন সম্ভাবনার কথাই জানালেন সংস্থার সিইও রাজেশ কুমার৷ শুধু তাই নয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অন্তত আট শতাংশ বেশি হারে বেতনও দেওয়া হবে৷ তবে উল্লেখযোগ্যভাবে সংস্থার অপেক্ষাকৃত বড় পদগুলিতে ইনক্রিমেন্ট এবং বোনাসের হার গত বছরের তুলনায় অন্তত ১ শতাংশ বেশি হবে৷
মেগা সিটি–গুলির সঙ্গে ৪২টি বড় বড় শহরের ১২টি শিল্পক্ষেত্রের অন্তত ৪২৭৮ টি সংস্থায় সার্ভে করে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে এমএসইটিএস৷ কর্মস্থানকারী শহর হিসেবে শীর্ষস্থানে থাকবে কলকাতা,বেঙ্গালুরু, মুম্বই, দিল্লি ও এনসিআর, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ ও পুনে৷ যেখানে মোট ৫,১৪,৯০০ কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনা থাকছে৷ বাকি সংখ্যক কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে টায়ার –২ ও টায়ার ৩ স্তরের শহরগুলিতে৷
২০২০ সালে,যেসমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে কর্মসংস্থান বেশি হতে পারে সেগুলির মধ্যে শীর্ষস্থানে থাকছে রিটেল ও ই–কমার্স যেখানে অন্তত ১,১২,০০০ লক্ষ কর্মী নিয়োগ হবে৷ এরপর ক্রমপর্যায়ে থাকবে করবে আইটি এবং আইটিএস ক্ষেত্র যেখানে নিয়োগ হতে পারে ১,০৫,৫০০ লক্ষ কর্মী, এফএমসিজি ক্ষেত্রে সংখ্যাটা হতে পারে ৮৭,৫০০ হাজার, উৎপাদন ক্ষেত্রে ৬৮,৯০০হাজার, ব্যাংক, আর্থিক পরিষেবা এবং বীমা ক্ষেত্রগুলিতে ৫৯,৭০০ এবং স্বাস্থ্য পরিষেবায় ৯৮,৩০০ কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনা থাকছে৷
আঞ্চলিক ভিত্তিতে এবছর মূলত দেশের দক্ষিণের অঞ্চলগুলি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে থাকবে বলেও সার্ভে রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে৷ যেহেতু এখানেই সর্বোচ্চ ২,১,৪০০ লক্ষ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি করবে৷ এরপরেই থাকছে উত্তর যেখানে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ১,৯৯,৭০০ লক্ষ৷ পশ্চিমাঞ্চলে ১,৬৫,৭০০ লক্ষ এবং পূর্বাঞ্চলে ১,২৫,৮০০ লক্ষ নিয়োগের সম্ভাবনা থাকছে৷
তবে বাড়তি খরচ কমাতে মেট্রোসিটি গুলির পরিবর্তে টায়ার–২ ও টায়ার ৩– স্তরের শহরগুলির দিকেই বশি ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা সে ক্ষেত্রে এই শহরগুলোতেই কর্মসংস্থানের বেশি সুযোগ তৈরি হবে৷ তবে এই কর্মক্ষেত্রগুলিতে অন্যান্য বিষয়ের থেকে প্রযুক্তি বা প্রযুক্তিগত বিদ্যার চাহিদা বেশি থাকবে বলেই উল্লেখ করেছেন রাজেশ কুমার৷
ইদানিং অনলাইনের মাধ্যমে বেশিরভাগ কাজকর্ম করা হচ্ছে বিশেষ করে তথ্য সংগ্রহের কাজ৷ সেক্ষেত্রে এবছর তথ্যজ্ঞান অর্থাৎ ডেটা লিটারেসি–র উপর নতুন করে আলোকপাত করবে৷ এক্ষেত্রে কর্মচারীদের সম্পর্কে সংস্থার গভীর দৃষ্টিভঙ্গি ও অবহিত সিদ্ধান্তগুলি সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে তথ্য পড়ে সহজভাবে বিশ্লেষণে পারদর্শীদের কাজের সুযোগ বাড়বে৷
এক্ষেত্রে শাইন ডটকমের সিইও জাইরাস মাষ্টার জানিয়েছেন, ২০২০ সালে কর্মরতদের জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণের ওপরেও জোর দেওয়া হবে৷ সুতরাং সময়োপযোগী দক্ষতার ঘাটতি মেটাতে নিয়োগকারী সংস্থাগুলি নমনীয় সাংগঠনিক পরিকাঠামোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম এমন পেশাদার কর্মীদের নিয়োগের দিকেই বেশি জোর দেবে৷