নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে চর্চার কেন্দ্রে এখন ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি৷ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ব্যবস্থা চালু করার ইঙ্গিত দিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। সেই কমিটির ৮ জন সদস্যের নাম ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, এই নিয়ম কার্যকর করে ভোট করাতে হলে কত টাকা খরচ পড়বে? আর আদৌ কি আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এই নীতি কার্যকর করা সম্ভব? আপাতত যা মনে হচ্ছে তাতে উত্তর একটাই, না।
‘সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ’-এর প্রধান তথা নির্বাচন ও নির্বাচনী খরচ সংক্রান্ত বিখ্যাত এক সমীক্ষক-লেখক দাবি করেছেন, এই প্রস্তাব কার্যকর করতে গেলে প্রায় দশ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। আর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আনুমানিক ১.২০ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে। সেই প্রেক্ষিতে বলা যায়, বিষয়টি কতটা জটিল। যদিও একটা সবুজ আভা তিনিও দিয়েছেন। বলেছেন, পুরো প্রক্রিয়া যদি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা যায় এবং দলগুলি নির্বাচনী বিধি কঠোরভাবে মেনে চলে তাহলে খরচ ৩ থেকে ৫ লক্ষ কোটি টাকায় কমিয়ে আনা যেতে পারে। এখন ইতিমধ্যেই সেপ্টেম্বর মাস। লোকসভা ভোট আগামী বছর এপ্রিল হচ্ছে ধরে নিলে বাকি থাকে মাত্র ৬ মাস। এত কম সময়ে এই পরিমাণ কাজ সেরে ফেলা সম্ভব হবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।
এই নীতি চালু হলে গোটা দেশ জুড়ে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে যে, এই নীতির কারণে ভোটের খরচ যেমন কমবে, সাধারণ মানুষের জন্য উন্নয়নের কাজও বেশি হবে। তবে খরচের বিষয়টি নিয়ে এখনও বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছেন না অনেকেই। তাই এই নীতি আদতে কোনও ফল দেয় কিনা, তাই দেখার।