শিক্ষক নিয়োগের কফিনে শেষ পেরেক! হঠাৎ কেন SSC-র চেয়ার বদল?

শিক্ষক নিয়োগের কফিনে শেষ পেরেক! হঠাৎ কেন SSC-র চেয়ার বদল?

কলকাতা: লাগামছাড়া দুর্নীতি, মেধা তালিকায় অনিয়মের সৌজন্যে দীর্ঘ মামলা-মোকদ্দমায় আপাতত বিশ বাঁও জলে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ভবিষ্যৎ৷ এবার উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কফিনে শেষ পেরেকটিও খুব সম্ভবত বসানো হল! শাসক দলের সঙ্গে কলহ ও কাজে অসন্তোষ দায়ে ফের অপসারিত স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান৷

শিক্ষা দপ্তরের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরকারকে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য এসএসসির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সৌমিত্র সরকার৷ তারপর বেশ কিছু নিয়োগ-প্রক্রিয়ার নতুন করে শুরু হলেও তাতে দানা বাঁধতে থাকে একের পর এক বিতর্ক৷ একের পর এক মামলা, শাসক দলের সঙ্গে অন্তর্দ্বন্দ্বের সুবাদে সৌমেনবাবুর চেয়ারম্যান পদ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর!

বছর দেড়েক আগে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে সরিয়ে সৌমেন সরকারকে এসএসসি চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়৷ তাঁর কাজে সরকার সন্তুষ্ট নয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে৷ আপাতত কমিশনের এক আধিকারিক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাবেন বলে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর৷

সৌমিত্র সরকার চেয়ারম্যান থাকাকালীন নবম-দশম থেকে শুরু করে একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নানান জটিলতা দেখা দিয়েছে৷ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা এখনও চলছে৷ এই অবস্থায় সরকারকে না জানিয়ে সৌমিত্র সরকারের ছুটি নেওয়ার ঘটনার রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে৷ তাঁকে শোকজ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তবে, সরকারকে সরানোর পিছনে সরকারের অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যাতে প্রার্থীদের একাংশ৷

চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের ধারণা, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে এসএসসি চেয়ারম্যান পদে অতি বিশ্বস্ত কাউকে বসাতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল৷ যাতে আর্থিক লেনদেন করে শিক্ষক পদে নিয়োগের রাস্তা পথ খোলা রাখা যায়, তা নিয়েও আশঙ্কায় চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ এক্ষেত্রে সৌমিত্র সরকার পদে থাকলে তাতে সমস্যা হচ্ছিল বলে চাকরিপ্রার্থী একাংশের আশঙ্কা৷

সূত্রের খবর, একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শাসকের পছন্দের লোকজনকে ঢোকানোর চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ৷ তাতে সায় দেননি সৌমিত্রবাবু৷ গত বছর অক্টোবরে এসএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে শাসকদলের কলহ দেখা গিয়েছিল৷ তারপরই তাঁকে সরানোর চেষ্টা হয়েছিল৷ এবার সেই প্রক্রিয়া শেষ হল বলেই মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ তবে নতুন বছরের শুরুতেই চেয়ারম্যান পদে রদবদল ঘটনায় নতুন করে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন চাকরিপ্রার্থী একাংশ৷ আগামী দিনে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ভবিষ্যৎ কোন দিকে এগোবে, তা নিয়ে চিন্তিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *