G-20 Summit
নয়াদিল্লি: আগে থেকে যা ঘোষণা হয়েছিল সেই মতো সোমবার থেকে সংসদে শুরু হয়েছে পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে তা নিয়ে তীব্র জল্পনা ছিল। অবশেষে সেই বিষয়গুলি জনসম্পক্ষে আসে। যদিও বিরোধী পক্ষ তাতে সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছিল না। মনে করা হচ্ছিল, আসল বিষয় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তবে আজ অধিবেশন শুরুতে কোনও বিতর্কিত বিল পেশ হয়নি। বরং অধিবেশনে জি-২০ সম্মেলনের সাফল্য ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। (pm modi)
লোকসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই সংসদের গুরুত্বের কথা জানালেন। পাশাপাশি তাঁর পূর্বসূরিদের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন। মোদীর মুখে উঠে এল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী এবং ইন্দিরা গান্ধীর কথা। এরপর তিনি বলেন, ভারত বিশ্ববন্ধু হয়ে উঠছে। এই প্রেক্ষিতেই জি-২০ সম্মেলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর বক্তব্য, জি২০ সম্মেলনে দেশের বৈচিত্রের উদযাপন ঘটেছে৷ ভারত গর্বিত, কারণ গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছি আমরা। তবে মোদী স্পষ্ট করেন, জি-২০ বৈঠকের সাফল্য কোনও দল বা ব্যক্তির নয়, গোটা দেশের। একই সঙ্গে, বিরোধীদের ঐক্যের বার্তাও দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, পুরনো কথা ভুলে গিয়ে নতুন করে এগিয়ে আসার সময় হয়েছে।
এছাড়া এদিনের অধিবেশনে চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, চন্দ্রযান ৩-এর হাত ধরে চন্দ্রাভিযানের সাফল্য এসেছে৷ চাঁদে ভারতের তিরঙ্গা উড়েছে। শিবশক্তি পয়েন্ট অনুপ্রেরণার নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। তিরঙ্গা বিন্দু দেশের গর্বের কারণ হয়ে উঠেছে। এই সাফল্যের হাত ধরেই বেশ কিছু সুযোগ ও সম্ভাবনা ভারতের দরজায় কড়া নাড়ছে।